দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির উন্মুক্ত বিকাশে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২২ ও ২০২৩ সালের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পেয়েছেন একটি নাট্যসংগঠনসহ ১০ গুণীজন।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
এবার সংস্কৃতির বিকাশে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২২ পেয়েছেন অভিনয়ে বেনী মাধব বণিক, আবৃত্তিতে আনওয়ারুল ইসলাম রাজু, লোকসংগীতে মাহমুদা আখতার মিলা, যন্ত্রসংগীতে নুরুজ্জামান মিয়া ও কণ্ঠসংগীতে রফিকুল ইসলাম রইস।
এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২৩ পেয়েছেন অভিনয়ে মানস চন্দ্র সেন গুপ্ত, যন্ত্রসংগীতে আব্দুল আলীম, কণ্ঠসংগীতে গিয়াস উদ্দিন, আবৃত্তি নাসরিন সুলতানা ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন রংপুর নাট্যকেন্দ্র।
অনুষ্ঠানে গুণীজনদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো ছাড়াও ১০ জনকে মেডেল ও সম্মাননা চেক প্রদান করেন অতিথিরা। পরে সম্মাননা প্রদান শেষে গুণীজনরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এ সময় তিনি বলেন, গুণীজনদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। এটি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে পথ দেখাবে। রংপুরের সাংস্কৃতিক আমেজ আছে। এখানকার মানুষ সাহিত্য-সংস্কৃতানুরাগী। দেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এখানকার মানুষের বিশেষ অবদান আছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু।
প্রসঙ্গত, শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জেলা পর্যায়ে ৫ জন গুণী মানুষকে সম্মাননা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ২০২২ ও ২০২৩ সালের মোট ১০ জনকে সম্মাননা প্রদান করে।