শিমুল গাছের পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়ে টুনটুনিটা একটু দূরে বসে থাকা খয়েরি রঙের বয়স্ক প্রজাপতিকে লক্ষ করে সুরে সুরে বলে উঠলো, কিহে প্রজাপতি তোমার ঘরে নাকি নতুন অতিথি এসেছে?
বয়স্ক প্রজাপতিও মুখ ঘুরিয়ে, পাখা নাড়িয়ে, গুণগুণ করে বলে উঠলো,
-তাতে তোমার কি হে? তুমি কি বুঝবে নতুন অতিথির আনন্দ? তুমিতো জানো শুধু টুই টুই করে বেসুরো গলাই গান গাইতে আর নেচে বেড়াতে। নানান রঙের ঝর্ণাধারা তুমি কি ঝরাতে পারো? তুমি কি পারো অস্ফুটো কলির ফুল ফোটাতে?
টুনটুনিও তার সমুধুর সুর তুলে গেয়ে উঠলো- আহা আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত পাখি গায়।
সে সুরে সুরে আরো বললো- ওহে প্রজাপতি তাই বুঝি তোমার ঘরে আজ এতো আনন্দের জোয়ার?
সত্যিই বয়স্ক প্রজাপতিটির ঘরে এসেছে আজ নতুন অতিথি। এক নীল প্রজাপতি। হেলে দুলে মাথা নেড়ে পাখা উচিয়ে সবাইকে দেখছে আর মনের সুখে সবাইকে জানাছে তার আগমনী বার্তা।
তারপর দিনে দিনে ধীরে ধীরে সবায়কে আনন্দে মাতিয়ে একসময় বড় হয়ে উঠল শিশু প্রজাপতিটা। শৈশব থেকে কৈশোর। কৈশোর থেকে তারুণ্যে। প্রজাপতির লাল নীল শাখায় দারুণ সুভাসিত ও মোহিত হলো বাগান। গাছের এ ডাল থেকে ও ডালে যায় সে। আর নেচে নেচে গান গায় তার নতুন পত্রপল্লবে ছেয়ে ওঠা সবুজ হলুদ সোনালিচ্ছটার পাখাদুটি মেলে।
মনের আনন্দে দারুণ চঞ্চলতাই কিছুদিনের মধ্যেই সে হয়ে উঠলো পরিপূর্ণ এক নীল প্রজাপতি। হেসে খেলে, নেছে গেয়ে চললো আরো কিছু দিন। দিন যায় রাত আসে তারপর আবার দিন আবার রাত। দিন বদলের এই খেলা তার শিশুসুলভ মনে এক নতুন ভাবাগের সৃষ্টি করে। তারপর যেন চিরচেনা হয়ে যায় প্রকৃতির এই লীলা। বয়স্ক প্রজাপতির সাথে ঘুরে ঘুরে সে প্রকৃতির সবকিছু চিনে নিয়েছে।
নীল প্রজাপতিটা উড়ে চলে এ ডাল থেকে ও ডালে। এ ফুল থেকে ও ফুলে ঘুরে ঘুরে সুবাস নিতে থাকে। এ যেন এক মহানন্দ। জীবনের সব সুখ বুঝি এখানেই। সারাদিন গুণগুণিয়ে মনের সুখে আপন মনে গাইতে থাকে। লাল নীল সবুজ হলুদ রঙিন পাখা মেলে বাতাসের সাথে তাধিন তাধিন নাচতে থাকে। তার খুশিতে বাগানের ফুলগুলোও যেন মনের সুখে গাইতে থাকে-
‘প্রজাপতিটা উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে, রাঙা মেঘের মতো, বসে আমার আকাশ জুড়ে, যখন তখন...।’
নীল প্রজপতিটাও গানের সুরে সুরে নেচে নেচে ঘুরে ঘুরে উড়ে বেড়ায়। এমনিভাবে একদিন উড়তে উড়তে সে অনেক দূরে নদীর কূলে গিয়ে পৌঁছে।
সেখানে এক ডালিম গাছে সে দেখতে পায় শাখার ভাঁজে ভাঁজে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে অসংখ্য ডালিম ফুল ফুটে আছে। নীল প্রজাপতি মনের আনন্দে এ ডাল থেকে ও ডালে যায় আর গুণগুণ করে গান করে তার লাল নীল পাখা মেলে।
হঠাৎ সে আবার শুনতে পায় ওই গানটা- ‘প্রজাপতিটা উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে, রাঙা মেঘের মতো, বসে আমার আকাশ জুড়ে, যখন তখন...।’
সে ঘাড় ঘুরিয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে দেখে ফুলের একটি কলি তাকে ইশারায় ডাকছে। প্রজাপতিটা তার কাছে যেতেই সে লজ্জায় অবনত হয়ে যেন অপলক দৃষ্টিতে তার প্রতিক্ষায় বিভোর হয়ে থাকলো। যেন অনন্তকাল ধরে এ প্রতিক্ষা। শুনশান নীরবতায় হঠাৎ বাতাসের ঢেউয়ে দোল খেয়ে গেল ফুলকলিটি। নীরবতা ভাঙালো প্রজাপতিও-
গান শুনবে? খুব সুন্দর গাইতে পারি আমি।
সমহিমায় উজ্জ্বল ফুলকলিটি মাথা নাড়ালো তার সম্মতিসূচক ভঙ্গিতে।
প্রজাপতিও তার লাল নীল পাখায় ভর করে নেচে-গেয়ে উড়ে বেড়ালো কলির চারপাশে কিছুক্ষণ। যেন তার অতৃপ্ত বাসনায় বহুদিনের কাক্সিক্ষত লালিত স্বপ্ন আজ পরিপূর্ণতায় রূপলাভ করছে। অসম্ভব আবেগে আজ সে বেশিকিছু বলতে পারলো না। বেশিক্ষণ থাকতেও পারলো না কলির পাশে। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো আজ তার বিদায় নিতে হবে। না হলে নিশ্চয় ঘরে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে যাবে।
প্রজাপতিটা তখন কলির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মনের আনন্দে নিজের ঘরে ফিরলো। আজ সে খুশি। খুবই খুশি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে সে কিছুক্ষণ নাচলো তাদের ছোট্ট ঘরটিতে। প্রজাপতির বাবা-মাও যেন বিষয়টি অনেকটা আঁচ করতে পারলো। কিন্তু কি আর করা। তাদের সন্তান নীল প্রজাপতি আজ বড় হয়েছে। বন-বনানীর সব কিছু চিনতে শিখেছে। জানতে শিখেছে। তার স্বাধীন বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ করা হয়তো উচিত হবে না।
এদিকে মনের আনন্দে প্রজাপতিটার সারারাত ঘুম হয়নি। শুধু ভেবেছে কখন ভোর হবে আর কখন সে ফুলকলির কাছে ছুটে যাবে। এমনি সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো সে টেরই পায়নি। যখন ঘুম ভাঙলো সূর্য তখন পুব আকাশে ঝলমলিয়ে চারিদিক ফর্সা করে আলো ছড়াচ্ছে। প্রজাপতিটা জেগে উঠেই যতটা সম্ভব নিজেকে গুছিয়ে ছুটে চললো তার কলির কাছে। উড়তে উড়তে সে দেখলো নানান রঙের গাছ, ফুল, লতা, পাতা বাতাসে দুলতে দুলতে তার পথ তৈরি করে দিচ্ছে। চলতে চলতে শালিক পাখির সঙ্গে দেখা হলো।
শালিক বললো, কোথায় চললে প্রজাপতি?
প্রজাপতি ঘাড় ঘুরিয়ে নেচে নেচে বলে উঠলো, তোমাকে বলা যাবে না। তোমার গায়ে উৎকট গন্ধ। তুমি ময়লাতে থাকো। তাই তোমাকে বললে যাত্রা অশুভ হবে।
-কিন্তু তুমি কোথা থেকে এসেছো সেটা তো বলো।
-অনেক দূরের ফুল বাগান থেকে। যাচ্ছিও আরেকটি নতুন সুন্দর মনোরম ফুল বাগিচায়। কিন্তু তোমাকে সেটা বলবো কেন?
শালিক তখন পাখা নেড়ে বললো, ঠিক আছে তোমার বলার দরকার নেই। তুমি অনেক সুন্দর একটা প্রজাপতিতো দেখে খুব ভালো লাগলো তাই জানতে চাইলাম তুমি কোথা থেকে এসেছো আর কোথায়বা যাচ্ছো?
উড়তে উড়তে প্রজাপতির এবার দেখা হলো পাহাড়ের ঝরনার সঙ্গে। প্রজাপতি যখন ঝরনার পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে তখন ঝরনা একটু দুষ্টুমি করে প্রজাপতিকে ভিজিয়ে দিলো। প্রজাপতি একটু থেমে বললো
-আমাকে ভিজিও না। আমি যাচ্ছি উজান গাঙের ফুল বাগানে। ভিজে গেলে আমাকে সে চিনবে কেন?
ঝরনা অমনি বলে উঠলো, কে তোমাকে চিনবে না? তুমি একটা সুন্দর প্রজাপতি, সবাই তোমাকে চেনে। আমিও চিনি, এই পাহাড় তোমাকে চেনে, এই বন তোমাকে চেনে, বনের যত পশুপাখি ফুল ফল লতাপাতা, গাছগাছালি, ডালপালা এখন সবাই তোমাকে চেনে। তুমি নিজেও সুন্দর তাই সব সময় সুন্দরকে খুঁজে ফেরো।
-সুন্দরকে কে না খুঁজে বলো? তুমিওতো অনেক সুন্দর। স্বচ্ছ ও সুন্দর তোমার প্রবাহমান পানির ধারা। তোমার ঠান্ডা শীতল জলধারায় ভিজতে কার না মন চায়?
-তাহলে আরো একটু ভিজে যাও হে প্রজাপতি। দেখবে ভালো লাগবে।
-না ভাই ঝরনা। বেশি ভিজলে আমার ডানা আবার ভারি হয়ে যাবে। তখন উড়তে পারবো না।
এই বলে প্রজাপতি আবার চলতে শুরু করলো। এবার পথে দেখা হলো শিউলি ফুলের সাথে। প্রজাপতি যখন শিউলি ফুলের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে তখন শিউলি মাথা উঁচু কওে ডেকে বললো, ও ভাই প্রজাপতি কোথায় চললে হন্তদন্ত হয়ে। এতোদিন তো তুমি আমার কাছ থেকে গন্ধ নিয়েছো সুভাস নিয়েছো। আজ দেখছি অন্য কোথাও ছুটে চললে।
-হ্যাঁ ভাই শিউলি ফুল। তুমি অনেক সুন্দর একটি ফুল। তোমার সুভাসে চারিদিকে মাতিয়ে রাখে। তোমার গন্ধের তুলনা হয় না। কিন্তু আজ আমাকে জরুরিভাবে অনেক দূরে উড়ে যেতে হবে। যেখানে ফুল পাখিদের নতুন কোলাহল, নতুন গানের সুরে মাতে সবাই। সেখানে আছে নিত্য নতুন ফুলকলি। আছে হরেক রকমের গান সুর ও ছন্দ। আজ সেখানে যেতে আমার মন চাইছে। তুমি আর পিছু ডেকো না শিউলি ফুল।
এই বলে প্রজাপতি আবার বহুদূরে উড়তে শুরু করলো।
বহুদূর উড়তে উড়তে যখন সে ফুলকলির কাছে পৌঁছলো তখন দেখলো সেও তার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু একি- ফুলকলিকে আজ এতো সুন্দর দেখাচ্ছে কেনো? এতোটা পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব। তাহলে কি বড়রা যে বলে প্রজাপতির স্পর্শে ফুল সুন্দর হয় অথবা ফুলের স্পর্শে প্রজাপতি। এটা কি তাহলে তাই? তার নিজেরও আজ খুবই ভালো লাগছে। সে দেখছে কলি আজ আরো সুন্দর হয়েছে। কলির সেই সুন্দর পাপড়িতে এঁকে দিল প্রজাপতির মায়াবি চুম্বন। সেই শিহরণে কলি ফুটে উঠলো এক পরিপূর্ণ ফুল হিসেবে। আজ সে শুধুই কলি নই এক পরিপূর্ণ ফুলকলি। প্রজাপতিও পেল তার পূর্ণতা। যেন সবুজ ঘন পত্রপল্লবে ছেয়ে গেলো ফুলকলির চারপাশ। সুভাসিত বাতাসে আন্দোলিত হলো সবুজ বন। ফুলকলি হেলে দুলে গান গেয়ে চলেছে-
‘প্রজাপতিটা উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে, রাঙা মেঘের মতো, বসে আমার আকাশজুড়ে, যখন তখন...।’
এভাবে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল নেচে গেয়ে। এবার প্রজাপতির ফেরার পালা। অনেক কষ্টে সে ফুলকলির কাছ থেকে বিদায় নিল। কথা দিল আগামীকাল একই সময় একই স্থানে তাদের কথা হবে। প্রজাপতি ফিরে গেল তার নিজ আবাসে। ফুলকলিও তার নিজ সুভাসে সবায়কে মোহিত করে রাঙিয়ে তুললো বাগান।
প্রজাপতি আজ প্রফুল্ল মনে ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুমের ভেতর ফুলকলিকে নিয়ে সে নানান রঙের স্বপ্ন দেখল। প্রজাপতির পাখায় ভর করে উড়ে চললো ফুলকলি। এ বন থেকে ও বনে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে চললো তাদের অভিসার। দেখা হলো কত ফুল, কত পাখি, কত নাম না জানা ফলমূল আর হরেক রঙের পত্রপল্লবে ছেয়ে থাকা সবুজ বন-বনানী। অসম্ভব রকম ভালো লাগার এক স্বপ্নপুরীতে চলছে নীল প্রজাপতি আর ফুলকলির অবাধ বিচরণ।
খুব ভোরে হঠাৎ টুনটুনির আওয়াজে তার ঘুম ভাঙলো। আড়মোড়া ছেড়ে সে যখন ঘর ছেড়ে বাইরে এলো- দেখতে পেল এক নির্মম দৃশ্য। কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে তাদের গাছটি। পাশের আমগাছের বড় ডালগুলো ভেঙে গেছে। ছোট ছোট গাছগুলো যেখানে ছিল সে জায়গাগুলো এখন সমান। বোঝার উপায় নেই যে আগে এখানে কোনো গাছ ছিল। ছিল ফুল, ফল, পাখি ও নাম না জানা কতো কীটের দল। যারা নীল প্রজাপতির সাথে দিনভর খেলা করতো।
সে বয়স্ক প্রজাপতির কাছে গিয়ে জানতে চাইলে সে বললো, গতকালের ঝড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বনের অধিকাংশ গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পশুপাখিও মারা গেছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে উত্তরের নদীপাড়ের জঙ্গলে। কোনো গাছই সেখানে অবশিষ্ট নেই।
বয়স্ক প্রজাপতির কথা শেষ না হতেই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীল প্রজাপতি ছুটে চললো উত্তরের জঙ্গলে। যেখানে তার ফুলকলি থাকে। তার জীবনের প্রথম অনুভূতি। যেখানে সে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছে। যেভাবেই হোক ফুলকলিকে তার বাঁচাতে হবে। এতোবড় একটা ঝড় বয়ে গেল অথচ সে কিছুই টের পেল না।
ছুটতে ছুটতে এক সময় সে নদীপাড়ের জঙ্গলে এসে পৌঁছাল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। যতদূর চোখ যায় শুধুই শূন্যতা। বুকের ভেতর হিম শিতল একটা বাতাস বয়ে গেল। সে যতটা সম্ভব ফুলকলিকে চিৎকার করে ডাকলো।
কিন্তু না, কোথাও কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। অবশেষে সে নদীর ধারে গেল কিন্তু সেখানেও নেই। শুধু কলকল শব্দে নদীর পানি বয়ে চলছে। মাঝে মাঝে নদীর পানিতে ভেসে যাচ্ছে গাছের ভাঙা ডালপালা ও অসংখ্য সবুজ পত্র-পল্লব যা সে গতকাল রাতের স্বপ্নে দেখেছে। তখন যেন চুরমার হয়ে ভেঙে যাচ্ছে তার বুকের পাঁজর। লোনাজলের কষ্টের ধারাগুলো যেন অবিরত বইছে নদীর স্রোতের সাথে। এ এক দুঃসহ যন্ত্রণা।
এখন নীল প্রজাপতি কি ফিরে যাবে তার নিজ কুটিরে? নাকি নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দেবে তার নানা রঙের স্বপ্নময় পাখাদুটি? একবারে নিভিয়ে দেবে তার জীবন প্রদীপ?
হঠাৎ নদীর এক অব্যর্থ স্রোত এসে ভাসিয়ে দিল নীল প্রজাপতিকে। বেঁচে থাকার আদিম চেষ্টায় সে জয়ী হবে নিশ্চিত। কিন্তু কি লাভ? এভাবেই বয়ে চলুক না জলে ভাসা নিরন্তর জীবন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh