ঝকঝকে দাঁতে সুন্দর হাসি কেবল ব্যক্তিত্বকেই আকর্ষণীয় করে না, এটা আপনার সুস্বাস্থ্যেরও পরিচায়কও। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অনেকেই দাঁত সুস্থ রাখার বিষয়ে সচেতন থাকেন না।
একটু সচেতন হলে ও কিছু বিষয় চর্চার মধ্য দিয়ে অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে সারা জীবন সুস্থ-সবল দাঁতের সুন্দর হাসি হাসতে পারবেন আপনি। আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই দাঁত ভালো রাখতে দিনে দুই বার ব্রাশ করেন। তবুও দাঁতে শিরশিরানি বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁতের অতিরিক্ত যত্ন করতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই ক্ষতি করে ফেলেন অনেকে। মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে দাঁত মাজার সময়েও কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
গায়ের জোরে দাঁত ঘষছেন
দাঁতে লেগে থাকা হলদে ভাব তুলতে বেশ জোর দিতে হয়। দাঁতের খাঁজে আটকে থাকা খাবার সহজে বেরিয়ে আসতে পারে ব্রাশের চালানোর কায়দায়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁতের ওপর খুব বেশি বল প্রয়োগ করলে এনামেল নষ্ট হয়, যা দাঁতের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
ভুল ব্রাশ ব্যবহার
মাড়ি, দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দাঁত মাজা জরুরি। কিন্তু সেই ব্রাশের মান কেমন, তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। ব্রাশ যদি খুব শক্ত হয়, তা হলে মাড়ি এবং দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে এক ব্রাশ ব্যবহার করাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
ফ্লসিং করছেন না
খাওয়ার পর দাঁত মাজতে পারলে ভালো। যদি সম্ভব না হয়, তা হলে কী করবেন? দাঁতের খাঁজে আটকে থাকা খাবার কিন্তু সহজেই বার করা যায় ফ্লসের সাহায্যে। মুখের ভেতর এমন জায়গা, যেখানে ব্রাশ পৌঁছতে পারে না, সেই অংশ পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে ফ্লস।
জিভ এবং মুখগহ্বর পরিষ্কার করছেন না
দাঁতের ক্ষয়ক্ষতি বন্ধ করতে শুধু ব্রাশ করলেই হবে না। মুখগহ্বর এবং জিভের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার না করলে কিন্তু মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। জিভের ওপর জমে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ।
দাঁতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন?
দাঁতে এমন কিছু হয়নি বলে দীর্ঘ দিন ধরে দাঁত পরীক্ষা না করানো কিন্তু বোকামি। ঠাণ্ডা-গরম খেতে গিয়ে দাঁত শিরশির করাই হোক বা পেয়ারা খেতে গিয়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া— এমন ছোটখাটো বিষয় ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।