চিকিৎসকদের মতে, মৌসুমি ফল-মূল এবং শাকসবজি শরীর সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শীতকালে আমরা নানা রকমের শাক-সবজি বেশি পরিমাণে পেয়ে থাকি।
এর মধ্যে গাজরকে শীতকালীন সুপারফুডও বলা হয়, কারণ আপাদমস্তক প্রতিটি অঙ্গের জন্য উপকারী এই গাজর। এমনকি হরমোনের সমস্যা, ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী এই সবজিটি।
গাজরের কিছু গুণাগুণ
• গাজর বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ। এই উপাদান দুটি অন্ত্রে ছত্রাক ঘটিত যেকোনো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
• জরায়ু ক্যানসার, সিস্ট, ফাইব্রয়েডস ইত্যাদি জাতীয় সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সহায়ক ফ্যালক্যারিনল নামক এক উপাদান, যা গাজরে বিদ্যমান।
• গাজর শরীরে নতুন কোষ তৈরি করতেও সহায়ক কারণ এটি প্রাকৃতিক কোলাজেন সমৃদ্ধ।
• এ ছাড়াও এতে আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গাজর যেভাবে খেতে পারেন
• বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজরে থাকা উপাদান ‘ফ্যালক্যারিনল’ পুরো মাত্রায় পেতে হলে এটি ধুয়ে সালাদ হিসেবে খাওয়া ভালো।
• চোখ এবং চুলের যত্নে উপকারী বিশেষ এক উপাদান হলো ‘বিটা-ক্যারোটিন’ যেটি গাজর তাপে থাকা অবস্থায় বৃদ্ধি পায়।
• গাজর রস করে খাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
• অন্ত্রের কোনো সমস্যা থাকলে গাজর সেদ্ধ করে খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত সেদ্ধ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এতে সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
গাজর খাওয়ার কিছু টিপস
• গাজর ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত।
• কাঁচা খাওয়ার সময় খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া উচিত।
• গাজর বেশিক্ষণ রান্না করা উচিত নয়।
• গাজর দিয়ে তৈরি খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে খাওয়া উচিত।
সতর্কতা
• গাজর অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে ভিটামিন ‘এ’র মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
• গাজর খেয়ে সূর্যের আলোতে গেলে ত্বক হলুদ হয়ে যেতে পারে। এটি সাময়িক সমস্যা।