দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৮৮ ডেঙ্গু রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯৯ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩৮৯ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। অন্যথায় অবহেলায় জীবন দিয়ে মাশুল দিতে হতে পারে।
সংক্রমণটি প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিতে হবে, যেমন- মশারি টানিয়ে ঘুমানো ও ঘরের আশপাশে পানি জমতে না দেয়া। ডেঙ্গু মৌসুমে কিছু খাবারকে অগ্রাধিকার দিয়েও সংক্রমণ প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ তন্ত্র (ইমিউন সিস্টেম) যত বেশি শক্তিশালী হবে, ডেঙ্গু ও অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তত কমবে। এখানে ডেঙ্গু মৌসুমে নিরাপদ থাকতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়াতে পারে এমনকিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো।
সাইট্রাস খাবার: সাইট্রাস ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। কিছু সাইট্রাস খাবার হলো- কাঁচামরিচ, ক্যাপসিকাম, লেবু, কমলা, মোসাম্বি ও পেয়ারা।
রসুন: গবেষণা বলছে, রসুন শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এই মসলাতে উপস্থিত সালফার ইমিউনিটি বাড়িয়ে থাকে। এটি ডেঙ্গুর মতো ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই করতে পারে। তাই ডেঙ্গু মৌসুমে সুরক্ষিত থাকতে খাবারে মসলাটির ব্যবহার বাড়াতে পারেন। এই মসলাতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানও রয়েছে।
দই: দই হলো একটি শক্তিশালী প্রোবায়োটিক, যা ইমিউন সিস্টেমের কাজকে চাঙা করে। এর ফলে ইমিউনিটি শক্তিশালী হয়। শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম শুধু ডেঙ্গু নয়, যেকোনো ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে। দিনের যেকোনো সময় টাটকা দই খেতে পারেন।
পালংশাক: পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই শাক থাকা উচিত। এক্ষেত্রে পালংশাককে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। এসব পুষ্টি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে, যার ফলে শরীর সহজেই ভাইরাল সংক্রমণকে পরাস্ত করতে পারে।
কাঠবাদাম: শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন কিছু কাঠবাদাম খেতে পারেন। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী লিপিড-সলিউবল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হলো সবচেয়ে কার্যকর পুষ্টিগুলোর একটি, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়কা করে। প্রতিদিন অল্পকিছু কাঠবাদাম খেলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
হলুদ: শরীরের ইমিউন সিস্টেমের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে হলুদ। এই মসলার প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকুমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। উপাদানটি অ্যান্টিভাইরাল অ্যাক্টিভিটির জন্যও প্রসিদ্ধ। গবেষকরা জানান, হলুদের কারকুমিন শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরিতেও বাধা দিতে পারে। তাই ডেঙ্গু মৌসুমে শরীরের নিরাপত্তা বাড়াতে তরকারিতে রসুনের পাশাপাশি হলুদের ব্যবহারও বাড়াতে পারেন। তবে বেশি তাপে ও রান্নায় কারকুমিনের গুণাগুণ কমে যায়- এটাও মাথায় রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় হলুদ পানি পান করতে পারলে।
আদা: আদাও শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেলে ঘনঘন আদা চা পান করা উচিত, এতে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। মসলাটি ডেঙ্গু সংক্রমণের উপসর্গকে তীব্র হতে দেয় না। তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh