মন যে কী করে মন ই জানে। সারা দিন নানা কিছু নিয়ে আমাদের মন, মস্তিষ্ক ভাগাড়ে পরিণত হয়। হাজার রকমের চিন্তা করি আমরা প্রতিদিন । অতীত নিয়ে ভাববেন না। ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। অতীত যেমনই হোক, সেখানে আপনার আর কিছু করার নেই। তাই সেটা ভালো বা মন্দ যা–ই হোক না কেন, সেটাকে চিন্তার একটা বড় অংশজুড়ে রাখার কোনো মানে নেই। অন্যদিকে ভবিষ্যৎ কেমন হবে, সেটা নির্ভর করছে আপনার বর্তমান কাজের ওপর। তাই অপ্রয়োজনীয় অংশটুকু বাদ দিয়ে বর্তমানে মনোযোগ দিন। অনেকে আবার মেডিটেশন করতে চলে যান প্রকৃতির সান্নিধ্যে, এ যেন একের ভেতর দুই,তা করতে পারলে খুব ভালো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে আমাদের এমনিতেই মন নানা কিছু নিয়ে মেতে থাকে। এর সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলা যায়। প্রতিনিয়ত আমরা এমন সব তথ্য ‘ভোগ’ করছি, যেকোনো অর্থেই যেগুলো অর্থহীন। এখান থেকে মুক্তি দেবে ‘আনফলো’ বাটন। যা কিছু আপনাকে ক্ষমতায়িত করে না, প্রয়োজনীয় তথ্য দেয় না বা অনুপ্রাণিত করে না আনফলো করুন।
আনফলো একটি প্রয়োজনীয় বাটন
‘বিয়িং সিলেকটিভ সোশ্যাল’ মানে কিন্তু অসামাজিক হতে বলা হচ্ছেনা। তবে নিজের গণ্ডি অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় করার কোনো মানে নেই। যেমন জীবনে একজন সত্যিকারের বন্ধুই যথেষ্ট। আপনার দুজন থাকতে পারে, তিনজনও থাকতে পারে। তবে এর বেশি নয়। অযথা বন্ধুদের সঙ্গে রাতভর আড্ডা না দিয়ে সেই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন। আপনার অপ্রয়োজনীয় সামাজিক গণ্ডি যত ছোট রাখবেন, আপনার কাছের মানুষ, আপনজনদের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটানোর সম্ভাবনাও বাড়বে। নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটাও গভীর হবে।
মাঝেমধ্যেই প্রকৃতির মাঝে ডুব দিন
চেষ্টা করবেন সপ্তাহে অন্তত একবার নাগরিক জীবন থেকে কিছুক্ষণের জন্য ছুটি নিতে। কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যান। প্রকৃতির মাঝে ডুব দিন। প্রাণভরে শ্বাস নিন। আর জীবনের সব দুশ্চিন্তা, ভাবনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ছুটি দিন।
সম্ভব হলে ঘরের আলো কমিয়ে বা অন্ধকার করে মেডিটেশন করুন। এই সময় আপনি প্রাকৃতিক শব্দ শুনতে পারেন। হতে পারে বৃষ্টির শব্দ। এভাবে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেকে নিজের সঙ্গে একাত্ম হোন। দিনের কিছুটা সময় রাখুন কেবল নিজের জন্য। সেই সময়টুকু বই, মুঠোফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নেটফ্লিক্স বা অন্য কোনো কাজ, এ ধরণের কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত না থাকাই ভালো।