প্রাকৃতিকভাবে মধুকে ব্যথানাশক ও রোগজীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শীত শীত আমেজ চলে এসেছে প্রকৃতিতে। পরিবেশের এ পরিবর্তনের কারণে সব বয়সের মানুষেরই ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলো বেড়ে যেতে দেখা যায়। সর্দি-কাশি এগুলো শীতের সময়ে একদমই সাধারণ সমস্যা। এ সমস্যাগুলোতে বেশি ভোগেন পরিবারের শিশু আর বয়স্করা। তাই শীতকালে মধু অনেক সহায়তা করে থাকে। মধুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ বহুল। তাই শীতের সময়ে প্রতিদিন মধু খেতে পারেন। এতে করে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলো থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পেতে পারেন। আসুন জেনে নেই মধুর উপকারিতাগুলো:
১. প্রাকৃতিকভাবে মধুকে ব্যথানাশক ও রোগজীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শীতকালে ঠাণ্ডাজনিত রোগগুলোর ক্ষেত্রে মধু বেশ ভালো একটি সমাধান হতে পারে। এতে করে সর্দিকাশিসহ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, গলাব্যথা, খুসখুসে কাশি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় থেকে কিছুটা স্বস্তি লাভ করতে পারি।
২. মধু আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে, ১ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তা নানান ভাবে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হবে।
৩. শ্লেষ্মাজনিত কাশি বা কফের সমস্যার ক্ষেত্রে তুলসীর পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তা বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
৪. যদি খুসখুসে কাশির সমস্যা থেকে থাকে, তবে আদাকুচি করে পানি ফুটিয়ে তাতে এক বা দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেলে তা অনেকটা উপকার পাবেন।
৫. এ সময়টাতে অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত রং চায়ে বা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৬. এছাড়াও শীতে শরীরে বিভিন্ন ব্যথা বেড়ে যায়। তা সমাধানে প্রতিদিন মধু খেতে পারেন। শারীরিক ব্যথা থেকে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করবেন।