জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যদাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু প্রধান খাদ্যপণ্যের দাম মাসে মাসে ট্র্যাক করে সংস্থার ফুড প্রাইস ইনডেক্স । অক্টোবর মাসে এই হিসেব ১২৬ দশমিক ৪ পয়েন্টে নেমেছে।
এটি দুটি মাসের ধারাবাহিক পতন। কারণ সেপ্টেম্বর মাসেও ইনডেক্স কমেছিল, যা আংশিকভাবে চিনি দামের হ্রাসের কারণে হয়েছিল।
শস্য মূল্য সূচক ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। গমের দাম ১ শতাংশ কমে গেছে। আর চালের দাম ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
চিনি মূল্য সূচক অক্টোবর মাসে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ডিসেম্বর ২০২০-এর পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মূল কারণ ব্রাজিলে শক্তিশালী উৎপাদন, থাইল্যান্ড ও ভারতের প্রত্যাশিত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কাঁচা তেলের দাম কমা।
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের সূচক ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রধানত ইইউ এবং নিউজিল্যান্ড থেকে বেশি রপ্তানি ও মিল্ক পাউডার ও মাখনের দাম কমার কারণে।
মাংসের দাম সূচক অক্টোবর মাসে ২ শতাংশ কমেছে। তবে গরুর মাংসের দাম এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা প্রধানত বিশ্বব্যাপী চাহিদা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে উচ্চ দামের কারণে।
শাকসবজি তেল সূচক ০ দশিমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং এটি জুলাই ২০২২-এর পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ফাও’র নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্ব শস্য উৎপাদন ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন টন হবে, যা একটি নতুন রেকর্ড। বিশেষ করে মকাই ও চালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, বিশ্ব শস্যের মজুদ ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯১৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন হবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি