দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সাপ্তাহিক ‘জনশুনানি’ চলছিল । মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে কাগজ দেওয়ার নাম করে হঠাৎ আক্রমণ করে বসেন একজন। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই হামলার পর হাসপাতালে ভর্তি আছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার চোট গুরুতর নয়।
দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার সকালে প্রশ্নোত্তর পর্ব নেওয়ার সময় ওই যুবক ছদ্মবেশে বাসভবনে ঢোকেন। একপর্যায়ে হামলা চালান। রীতিমত কষে চড় মারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় নিরাপত্তা কর্মীরা। হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই দাবি করছে, মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। চুল ধরে টেনে চড় মারা হয়। বিজেপি দাবি করছে, এ ঘটনায় রেখার মাথায় চোট লেগেছে। অবস্থা অবশ্য গুরুতর কিছু হয়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছিলেন। ওই যুবক নিজের কথা বলতে গিয়েছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে।’ তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারেন ওই যুবক। এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে।
বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা বলেন, ‘ওই জনশুনানিতে হাজির এক যুবক মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা।’
এদিকে হামলার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা। এ হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
হামলার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে দিল্লিতে নারী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে দলটি। তাদের প্রশ্ন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যদি নিরাপদ না হন, তাহলে দিল্লিতে সাধারণ নারীরা কতটা নিরাপদ?
এদিকে হামলার পর জনশুনানিতে আসা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। হামলাকারী যুবক একাই এসেছিলেন নাকি কারও সঙ্গে এসেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।