পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের অহংকার মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে এবং দেশটির সেনাবাহিনী ভারতকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বুধবার (১৪ মে) রাতে
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে
এ তথ্য জানিয়েছে।
পাসরুর
সেনানিবাসে সৈনিকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে শেহবাজ
শরিফ বলেন, ভারতের বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধসরঞ্জাম নিয়ে যে অহংকার, পাকিস্তানি
সৈনিকরা তা চূর্ণ করে
দিয়েছে। তিনি বলেন, ভারত অনেক দিন ধরে মনে করে আসছিল, প্রচলিত যুদ্ধ কৌশলে পাকিস্তান অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা তাদের যুদ্ধদক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তিগত
সক্ষমতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, তারা কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই।
ভাষণে
ভারতকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষেও প্রস্তুত, আবার যুদ্ধের জন্যও সমানভাবে প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত ভারতের— তারা কী চায়। একইসঙ্গে,
তিনি পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার ভারতীয় হুমকির জবাবে বলেন, পানি পাকিস্তানের অধিকার, আর সেটি বন্ধ
করার চেষ্টা হলে তা হবে 'রেড
লাইন' অতিক্রম করার শামিল। এই অধিকার রক্ষায়
পাকিস্তানের সাহসী সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত।
কাশ্মির
ইস্যু নিয়েও শেহবাজ সরকার কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। শেহবাজ বলেন, কাশ্মির সমস্যা জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী সমাধান হতে হবে, তা না হলে
কোনো ধরনের বাণিজ্য আলোচনা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, কেবল বাণিজ্য নিয়ে আলাদা আলোচনা নয়, বরং এটি হতে হবে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক কাঠামোর অংশ।
পেহেলগাম
হামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জানান, ওই ঘটনার পর
পাকিস্তান পূর্ণ ও আংশিক তদন্তে
সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং আন্তরিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য করে রাতে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়। এর পরপরই পাকিস্তান
যথাযথ জবাব দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সবশেষে
তিনি উল্লেখ করেন, ভারত পাকিস্তানের পানির উৎস নিয়লম-ঝেলাম এলাকায় হামলা চালিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান তখন সংযম দেখিয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে— প্রয়োজনে ভারতের বাগলিহারসহ অন্যান্য পানি প্রকল্প ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য।