ছবিঃ সংগৃহীত।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্র পারস্পরিক দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনায় বসবে, এমনকি নৈশভোজেও বসতে পারে।
বুধবার
(১৪ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর এক
প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো
হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপসাগরীয় তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্তমানে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন। রিয়াদে অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম— ‘বন্ধুরা, চলো একটা সমঝোতায় আসি। বাণিজ্য করি। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, বরং তোমরা যেসব সুন্দর জিনিস তৈরি করো, তা বিনিময় করো।
যদিও
ট্রাম্প কার সঙ্গে, কখন এবং কী প্রেক্ষিতে এই
কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
তবে তিনি জানান, ওরা এখন আসলে ঠিকঠাক চলছে। হতে পারে, আমরা এমন কিছু করব যেন তারা একসঙ্গে নৈশভোজেও বসে।
এ
সময় তার সঙ্গে সৌদি সফরে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
এদিকে
ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে
সংঘর্ষ বিরতি স্বাগত জানাই এবং শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি
জানান, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলায় উৎসাহ দিচ্ছে।
তবে
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বিষয়ে মুখপাত্র পিগট মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই সরাসরি সংলাপকে উৎসাহ দিয়ে আসছি। প্রেসিডেন্টও এ বিষয়ে অত্যন্ত
স্পষ্ট।
ভারত
বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে, অন্যদিকে পাকিস্তান এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে “ভিত্তিহীন” বলেই দাবি করে। ইসলামাবাদের মতে, এসব অভিযোগ তুলে ভারত বরং নিজেই আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করে।
এক
সাংবাদিক জানতে চান, ভারত যদি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাজি না হয়, তাহলে
ওয়াশিংটন কি হতাশ? জবাবে
পিগট বলেন, আমি অনুমাননির্ভর কিছু বলব না। তবে আমরা সরাসরি যোগাযোগ এবং সংলাপের পক্ষেই থাকছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুশি যে একটি যুদ্ধবিরতি
হয়েছে—এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কাশ্মির
সংকট নিরসনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা কি তাকে নোবেল
শান্তি পুরস্কার এনে দিতে পারে—এমন প্রশ্নে পিগট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির পক্ষের মানুষ। তিনি একজন সমঝোতাকারী। সংকট নিরসনে প্রস্তুত রয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে সহায়তা দিতেও।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh