ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বের “সবচেয়ে বড় স্বীকৃত সন্ত্রাসী”
বলে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। সোমবার (১২ মে) জিও
নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি
এই মন্তব্য করেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন মঙ্গলবার (১৩
মে) এই তথ্য প্রকাশ
করে।
সাক্ষাৎকারে
খাজা আসিফ দাবি করেন, ভারত কেবল নিজ দেশে নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। তার ভাষায়, তারা সন্ত্রাসবাদকে শুধু সীমান্তের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং তা বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তে নিয়ে গেছে। এমনকি কানাডার মতো দেশেও ভারত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে। শিখ সম্প্রদায়ের নেতাদের টার্গেট করে তারা সেখানে হামলা চালিয়েছে।
তিনি
আরও বলেন, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান কূটনৈতিক, সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক সব
দিক থেকেই সাফল্য অর্জন করেছে। তাঁর অভিযোগ, ভারত বহুদিন ধরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অস্থিরতা তৈরির জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক এক টেলিভিশন ভাষণের
প্রসঙ্গ টেনে খাজা আসিফ বলেন, "মোদির কথাবার্তায় পরাজয়ের ছাপ স্পষ্ট।” তার দাবি, মোদির বক্তব্যে উঠে আসা “কাশ্মির ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে
আলোচনার দরজা খোলা”—এই স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের
জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।
পাকিস্তানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে মোদির জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছে। ভবিষ্যতে যে কোনো শান্তি
আলোচনা হলে পাকিস্তান সেখানে কাশ্মিরসহ সব মৌলিক ইস্যু
উত্থাপন করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ভারতের
বিরুদ্ধে আরও কঠোর অভিযোগ তুলে আসিফ বলেন, পূর্ব সীমান্তে সরাসরি যুদ্ধ পরিচালনার পাশাপাশি পশ্চিম সীমান্তেও ভারত সক্রিয়ভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের সহায়তায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান
(টিটিপি) এবং বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পশ্চিম পাকিস্তানে নাশকতা চালিয়ে আসছে। তার ভাষায়, গত দুই দশক
ধরে ভারত এসব গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আমাদের পশ্চিম সীমান্তকে বিপজ্জনক করে তুলেছে। আগে সেখানে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হতো না, কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
সাক্ষাৎকারের
এক পর্যায়ে খাজা আসিফ বলেন, গত ১০ মে
পাকিস্তান পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ভারতের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায়। এই পাল্টা পদক্ষেপের
পর ভারত সংকটের ভয়াবহতা বুঝতে পারে এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বানে দ্রুত পাঁচটি দেশের দ্বারস্থ হয়।