× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

১১ মে ২০২৫, ১৬:২৮ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। কূটনৈতিক এই প্রচেষ্টার নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দেশ দুইটির মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার সামনে এসেছে নতুন এক তথ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানটান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু গোয়েন্দা তথ্য পায় যা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক রূপে চিহ্নিত করে। এর পরপরই ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরে গঠিত একটি কৌশলগত দল—যার মধ্যে ভ্যান্স, মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস ছিলেন— শুরু থেকেই ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। শুক্রবার সকালে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানান এবং এরপরই মোদিকে ফোন করেন।

ফোনালাপে ভ্যান্স স্পষ্ট করেন, হোয়াইট হাউসের মূল্যায়ন অনুযায়ী পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে তবে তা সপ্তাহান্তে আরও ভয়াবহ সংঘর্ষের দিকে গড়াতে পারে। তিনি মোদিকে অনুরোধ করেন যেন ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে উত্তেজনা কমাতে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভ্যান্স এমন একটি শান্তিপূর্ণ বিকল্প পথের কথাও উল্লেখ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ধারণায় পাকিস্তান গ্রহণ করতে পারে।

সেসময় মার্কিন প্রশাসনের ধারণা ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তখন কোনো কূটনৈতিক সংলাপই চলছিল না। তাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দুই পক্ষকে আবারও আলোচনায় ফিরিয়ে আনা এবং যোগাযোগের ঘাটতি দূর করা। সিএনএন জানায়, মোদির সঙ্গে ভ্যান্সের ফোনালাপের পরপরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে রাতভর যোগাযোগ করেন।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়ায় অংশ নেয়নি, তবে পুরো প্রক্রিয়াকে তারা দেখেছে একটি আলোচনা-উন্মুক্তকারী প্রচেষ্টা হিসেবে। প্রশাসনের একাধিক সূত্রের মতে, মোদি-ভ্যান্স ফোনালাপ ছিল যুদ্ধবিরতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

সিএনএনের আরও দাবি, ভ্যান্স গত মাসেই ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেন। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে তাঁর ফোনালাপ আরও বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর হয় বলে বিশ্বাস করে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, যদিও চুক্তি সম্পূর্ণভাবে দুই দেশের আলোচনার ফল, তবু যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা এবং ফোন কূটনীতির মাধ্যমেই দুই দেশ আলোচনায় বসতে রাজি হয়, যার পরিণতিতে আজ কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.