ছবিঃ সংগৃহীত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মে মাসে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন। এ সফরকে ঘিরে আলোচনায় এসেছে দুই দেশের মধ্যে একটি বিশাল অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজ, যার মূল্য ধরা হচ্ছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এটি হলে হবে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয়টি সরাসরি সূত্র এ চুক্তির প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময়েই এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আমরা তাদের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও সৌদি আরবের সঙ্গে বড় অস্ত্রচুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০১৭ সালে প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি। তবে ২০১৮ সালের মধ্যে মাত্র ১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের বিক্রি শুরু হয়।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি কংগ্রেসে সমালোচনার মুখে পড়ে। ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের কাছে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, ইয়েমেন যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তুলে।
বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির চেষ্টা করেছিল, তবে তা ব্যর্থ হয়। এবার ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে সৌদির সঙ্গে একটি বিস্তৃত প্রতিরক্ষা প্যাকেজ নিয়ে আলোচনায় নেমেছে, যেখানে অস্ত্র বিক্রির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চুক্তির সম্ভাব্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় প্রতিরক্ষা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো—লকহিড মার্টিন, আরটিএক্স (পূর্বে রেথিয়ন), বোয়িং, নর্থরপ গ্রুম্যান ও জেনারেল অ্যাটমিক্স।
সূত্র জানিয়েছে, লকহিড সৌদি আরবকে সি-১৩০ পরিবহন বিমান, রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। জেনারেল অ্যাটমিক্সের এমকিউ-৯বি সি গার্ডিয়ান ড্রোন নিয়েও ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি সম্ভাব্য চুক্তি আলোচনায় রয়েছে।
মার্কিন আইন অনুসারে, বড় আন্তর্জাতিক অস্ত্রচুক্তি বাস্তবায়নের আগে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। অর্থাৎ চূড়ান্ত চুক্তির আগে এটি কংগ্রেসে পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন করতে হবে।
সূত্রগুলোর মতে, লকহিড মার্টিনের উন্নতমানের এফ-৩৫ জেট যুদ্ধবিমান নিয়েও আলোচনা চলছে। সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে এই যুদ্ধবিমান পেতে আগ্রহী। তবে ট্রাম্পের সফরের সময় এই চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের লংস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী, ইসরায়েলকে সবসময় তার প্রতিবেশীদের তুলনায় ‘গুণগত সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব’ বজায় রাখার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ইসরায়েল এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পেয়ে একাধিক স্কোয়াড্রন গঠন করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh