ভারত যদি সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আজাদ কাশ্মিরের আইনসভায় দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আনোয়ারুল হক দাবি করেন, ভারতের সেই সাহস নেই যে সে পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করতে পারে। তবে যদি করে, তাহলে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে। তিনি ভারতের কূটনৈতিক আচরণের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ভারতের নীতি ‘চাণক্য নীতির মতো’, অর্থাৎ কূটনীতির মুখোশ পরে পেছন থেকে ছুরি মারা।
প্রধানমন্ত্রী হক আরও বলেন, কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার সঙ্গে ভারত যে মিথ্যা গল্প জুড়ছে, তা আসলে ধরা পড়ে গেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভারত হয়তো কোনো তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করে আজাদ কাশ্মিরে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। তবে পাকিস্তান তার যোগ্য জবাব দেবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
আনোয়ারুল হক অভিযোগ করেন, ভারত এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তথাকথিত “পানির আগ্রাসন” চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ভারত পূঁছ ও নীলম নদীর পানিপ্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, যা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি বলেন, মোদি সরকারের আসল চেহারা বিশ্ব আজ চিনে ফেলেছে। কানাডা থেকে শুরু করে কাশ্মির পর্যন্ত সন্ত্রাসই হয়ে উঠেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ।
আনোয়ারুল হক তাঁর ভাষণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকাও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আজাদ কাশ্মিরের পতাকার পেছনে যে শক্তি রয়েছে, তা পাকিস্তানের সমর্থন। ভারতের অধীন কাশ্মিরের মানুষ সে স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে না, যা আজাদ কাশ্মিরের মানুষ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভারত যদি লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) লঙ্ঘন করে, তবে পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের অধীনে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রাখে। তার কথায়, পাকিস্তান একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ভারতসহ কোনো দেশই আমাদের সীমান্ত লঙ্ঘনের সাহস দেখাবে না। আমরা সব সময় প্রস্তুত।