ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ভয়াবহ এক বন্দুকধারীর হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি কড়া অবস্থান ও পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে সীমান্তে সেনা মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির আজকের (২৫ এপ্রিল) প্রকাশি এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর একটি ভারতীয় সেনা চৌকির দিকে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। এর পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনারাও গুলিবর্ষণ করে। সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, এই গোলাগুলিতে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্তের কিছু এলাকায় ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল এবং তারা এর উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমে এই গোলাগুলির খবর প্রকাশ পেলেও পাকিস্তান সরকার বা দেশটির সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
এই সীমান্ত উত্তেজনার পেছনে ভারিতশাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বড় ভূমিকা রেখেছে। হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও রয়েছেন। এই ঘটনার পর ভারত এবং পাকিস্তান উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রথমে ভারত ঘোষণা করে, সার্ক দেশগুলোর জন্য যেসব পাকিস্তানি নাগরিক বিশেষ ভিসা সুবিধা পাচ্ছিলেন, সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। জবাবে পাকিস্তানও একই ধরনের ঘোষণা দেয় ভারতীয় নাগরিকদের জন্য।
এছাড়া ভারত সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায়, যার জবাবে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সকল ধরনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিতের কথা ঘোষণা করে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমাও ভারতীয় বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।
ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত চৌকি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি দুই দেশই একে অপরের সামরিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করেছে।