জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে গুলি
করে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার
সম্পর্ক। নয়াদিল্লি সরাসরি অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান পরোক্ষভাবে এই হামলার সঙ্গে
জড়িত। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে
ভারত একের পর এক কড়া
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
গতকাল
(২৩ এপ্রিল) ভারত সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া ঐতিহাসিক সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল এবং ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাক সামরিক উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্যকার প্রধান সীমান্ত বন্দর বর্ডার ক্রসিংও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।
এমন
উত্তেজনার মধ্যেই আজ (২৪ এপ্রিল) ভারতের
নৌবাহিনী একটি মিসাইল প্রতিরক্ষা পরীক্ষায় সফলতা দাবি করেছে। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয়
নৌবাহিনী জানায়, তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুরাত একটি দ্রুতগামী ও নিচু দিয়ে
উড়ে আসা মিসাইলকে সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এই সাফল্যকে প্রতিরক্ষা
খাতে 'আরও একটি মাইলফলক' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে
পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও পাল্টা প্রস্তুতির ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানায়, পাকিস্তানি নৌবাহিনী ২৪ থেকে ২৬
এপ্রিল পর্যন্ত করাচি উপকূলে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সারফেস টু সারফেস মিসাইলের
পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে।
ভারতের
সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
ভারতের সিদ্ধান্তগুলোকে 'শিশুসুলভ' ও 'গুরুত্বহীন' বলে
অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত প্রতিটি ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। এবারও সেই পুরনো খেলা চালাচ্ছে। আমরা যোগ্য জবাব দেব, এই জবাব কম
হবে না।
সিন্ধু
পানি চুক্তি নিয়ে ইসহাক দার বলেন, এই ইস্যুতে ভারতের
সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। ভারতের হাতে যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে তা প্রকাশ করা
উচিত।