কাশ্মীরের
পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ ভারতীয় পর্যটকের
মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে দায়ী করছে ভারত সরকার। এই প্রেক্ষাপটে ইসলামাবাদের
বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে অন্যতম
হলো—ভারত-পাকিস্তান ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ।
বুধবার (২৩
এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয়
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির এক জরুরি বৈঠকে
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা
ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
বৈঠকে
সিদ্ধান্ত হয়, যতদিন পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে মদদ দেওয়া বন্ধ না করে, ততদিন
পর্যন্ত সিন্ধু পানি চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।
১৯৬০
সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট
ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান-এর মধ্যে করাচিতে
স্বাক্ষরিত হয় এই ঐতিহাসিক
চুক্তি। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তিকে আন্তর্জাতিকভাবে
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল পানি বণ্টন চুক্তি হিসেবে ধরা হয়।
চুক্তি
অনুযায়ী, ভারত উত্তরের তিনটি নদীর (বিয়াস, রবি ও সুতলজ) জল
ব্যবহার করে এবং পাকিস্তান পায় সিন্ধু, ঝেলাম ও চেনাব নদীর
পানি। কিন্তু চুক্তি স্থগিত হওয়ায়, বিশেষত কৃষিকাজ ও জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ
এই পানিস্রোত থেকে পাকিস্তান পর্যাপ্ত পানি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।