যুদ্ধবিরতি
চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭১ জন বেসামরিক
নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আজ (১৫ এপ্রিল) জেনেভায়
এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মুখপাত্র থামিন আল-খিতান জানান,
২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর ইসরায়েল
ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলেও ইসরায়েল সে চুক্তির শর্ত
বারবার লঙ্ঘন করেছে। এতে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ নারী ও
৯ শিশুসহ ৭১ জন সাধারণ
মানুষ।
তিনি
বলেন, এই অব্যাহত সহিংসতা
অবিলম্বে বন্ধ হওয়া জরুরি।
ইসরায়েলি
হামলায় লেবাননে ঘরহারা হয়েছেন অন্তত ৯২ হাজার মানুষ।
হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, রাস্তা ও একটি ক্যাফে-সহ বিভিন্ন বেসামরিক
অবকাঠামো। এমনকি এপ্রিলের শুরুতে বৈরুতের দক্ষিণে দুটি স্কুলের কাছেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী— যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির
পর প্রথম এ ধরনের হামলা।
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ দ্বন্দ্ব ঘিরে গত বছরের শেষদিক
থেকে সীমান্তে টানাপোড়েন বাড়ে। গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থানের প্রতিবাদে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা নেয়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নভেম্বরে এক চুক্তির মাধ্যমে
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
তবে
যুদ্ধবিরতির পরও সংঘর্ষ পুরোপুরি থামেনি। ইউএনএইচসিআর জানায়, চুক্তি কার্যকরের পর লেবানন থেকেও
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে পাঁচটি রকেট, দুটি মর্টার শেল এবং একটি ড্রোন ছোড়া হয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলের ওই অঞ্চল থেকেও
হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।