ছবিঃ সংগৃহীত।
বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ব্রিটিশ নগরমন্ত্রী ও লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি তার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অবৈধভাবে একটি প্লট পেয়েছেন।
সোমবার
(১৪ এপ্রিল) হ্যাম্পস্টেড
ও হাইগেটের
এমপি টিউলিপ সিদ্দিক
সাংবাদিকদের
বলেন, বাংলাদেশি
কর্তৃপক্ষের
কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগ
করেনি। পুরো বিষয়টি ‘ট্রায়াল
বাই মিডিয়া’ হয়ে গেছে। আমার আইনজীবীরা
স্বতঃস্ফূর্তভাবে
বাংলাদেশি
কর্তৃপক্ষকে
চিঠি দিয়েছেন,
কিন্তু কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তিনি
আরও বলেন, এই হয়রানিমূলক
রাজনৈতিক
অপপ্রচারের
বিষয়ে আমি সম্মান দেখিয়ে কোনো মন্তব্য
করতে চাই না। আমার বিরুদ্ধে
আনা অভিযোগের
কোনো সত্যতা নেই— এমনকি কোনো প্রমাণও
নেই যে আমি কিছু ভুল করেছি।
এর
আগে রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি আদালত পূর্বাচলে
প্লট বরাদ্দে
অনিয়মের
অভিযোগে
টিউলিপসহ
৫৩ জনের বিরুদ্ধে
গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা
জারি করে। দুর্নীতি
দমন কমিশনের
(দুদক) দায়ের করা মামলায় এ নির্দেশনা
দেওয়া হয়।
জানা
গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার
শাসনামলে
টিউলিপের
‘অবৈধভাবে
জমি পাওয়ার’ অভিযোগে
তদন্ত চালাচ্ছে
দুদক। এ তদন্তের
অংশ হিসেবেই
গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা
জারি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার
সরকার আমলে পরিবারের
মাধ্যমে
প্রভাব খাটিয়ে টিউলিপ জমি লাভ করেন।
দুদক
সূত্রে আরও জানা যায়, সংস্থাটি
শেখ হাসিনার
পরিবারের
বিরুদ্ধে
৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত
রাষ্ট্রীয়
অর্থ আত্মসাতের
অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এই তদন্তের
সূত্রপাত
হয়েছে হাসিনার
রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষ
ববি হাজ্জাজের
দায়ের করা একাধিক অভিযোগের
ভিত্তিতে।
বিবিসির
হাতে পাওয়া আদালতের
নথি অনুযায়ী,
২০১৩ সালে রাশিয়ার
সঙ্গে পারমাণবিক
বিদ্যুৎ
প্রকল্পে
চুক্তি স্বাক্ষরের
ক্ষেত্রে
‘সহায়তা’ করার জন্যও টিউলিপকে
দায়ী করেছেন হাজ্জাজ।
অভিযোগ অনুযায়ী,
এই চুক্তির
কারণে প্রকল্প
ব্যয়ও বেড়ে যায়।
তবে
টিউলিপ সিদ্দিকের
পক্ষে আইন সহায়তা প্রদানকারী
লন্ডনভিত্তিক
‘স্টিফেনসন
হারউড’ প্রতিষ্ঠান
এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ
মিথ্যা ও রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
বলে মন্তব্য
করেছে।
সংস্থাটির
সিনিয়র পার্টনার
পল থুয়েট এক বিবৃতিতে
বলেন, “টিউলিপের
বিরুদ্ধে
আনা অভিযোগের
কোনো প্রমাণ নেই। দুদক তার বিরুদ্ধে
কোনো সরাসরি অভিযোগ দাখিল করেনি এবং তাকে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা
সম্পর্কেও
অবহিত করা হয়নি। টিউলিপ কখনও বাংলাদেশে
কোনো জমির মালিক ছিলেন না এবং পরিবারের
কারও পক্ষে জমি বরাদ্দে
প্রভাব খাটাননি।
তবে
দুদক চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ
আবদুল মোমেন বিবিসিকে
দেওয়া এক বক্তব্যে
বলেন, এই অভিযোগগুলো
কোনোভাবেই
ভিত্তিহীন
নয়। তদন্ত চলছে দালিলিক
প্রমাণের
ভিত্তিতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। ফলে টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া অনেকটাই অনিশ্চিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh