× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গাজায় ইচ্ছাকৃতভাবে ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী হত্যা; ভিডিও প্রকাশের পর ভুল স্বীকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৩৫ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

ইসরাইল স্বীকার করেছে যে, দক্ষিণ গাজায় ১৫ জন জরুরি কর্মী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্য তাদের সেনাবাহিনী ভুল করেছে। এই হত্যাকাণ্ড ২৩ মার্চ ঘটে।

আজ (৬ এপ্রিল) বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই সময় রাফার কাছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের একটি দমকল গাড়ির উপর গুলি চালানো হয়। প্রথমে, ইসরাইল দাবি করেছিল যে হেডলাইট না থাকায় অন্ধকারে গাড়ি বহরটিকে 'সন্দেহজনকভাবে' এগিয়ে আসতে দেখা যায় এবং সে কারণে সৈন্যরা গুলি চালায়। এছাড়া, তারা আরও বলেছিল যে যানবাহনগুলো আসার আগে সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় বা অনুমতি নেওয়া হয়নি।

তবে নিহত এক প্যারামেডিকের মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা যায় যে, গাড়িগুলোতে আলো জ্বলছিল। এরপর ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করে যে কমপক্ষে ছয়জন চিকিৎসক হামাসের সাথে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। তবে, তারা স্বীকার করেছে যে, গুলি চালানোর সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিল নিরস্ত্র।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে প্রকাশিত মোবাইল ভিডিওতে দেখা যায়, যানবাহনগুলো রাস্তা ত্যাগ করার পরে, কোনও সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালানো হয়। ভিডিওতে শোনা যায়, রেফাত রাদওয়ান নামে এক প্যারামেডিক তার শেষ প্রার্থনা করছেন, এবং এরপর গাড়ির দিকে এগিয়ে আসা ইসরাইলি সেনাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। 

আইডিএফ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সৈন্যরা আগে তিনজন হামাস সদস্য বহনকারী একটি গাড়িতে গুলি চালিয়েছিল। বিবিসি জানায়, যখন অ্যাম্বুলেন্সগুলো হামাসের গাড়ির পাশে থামে, সৈন্যরা ধরে নেয় যে তারা হুমকির মুখে এবং গুলি চালাতে শুরু করে। তবে জরুরি কর্মীদের মধ্যে কেউই সশস্ত্র ছিল না, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

ইসরাইল পরে স্বীকার করেছে যে, গুলি চালানোর কারণ হিসেবে তারা যে 'হেডলাইট না থাকার' দাবি করেছিল, তা ভুল ছিল। এক পর্যায়ে, ইসরাইলি সেনারা মৃতদেহগুলো বন্য প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বালিতে পুঁতে ফেলেছিল। 

ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, কারণ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নিরাপদে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বা স্থানটি শনাক্ত করতে পারেনি। অবশেষে, একটি সাহায্যকারী দল মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার পর রেফাত রাদওয়ানের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে, যা ঘটনার ফুটেজ ধারণ করেছিল।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.