মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাংককের একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে পড়ে, সেখানে চাপা পড়াদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ হয়ে আসছে, এমনটি জানিয়েছে থাই প্রশাসন।
মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যার ফলে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছেন। ভূমিকম্পে প্রধান সড়কগুলোতে ফাটল ধরায় রাস্তাঘাট মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে, এক মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই ফাটলগুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
নাইপিদোসহ অন্যান্য জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই, যা উদ্ধারকাজে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
মিয়ানমারের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর মান্দালায়ও ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজ চলছে। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য চীন থেকে একটি রেসকিউ টিম মিয়ানমারে পৌঁছেছে।
ভূমিকম্পের পর ব্যাংককের ধসে পড়া বহুতল ভবন থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও অনেকের হদিস পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারে এই ভূমিকম্পটি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ছিল এবং এটি ঘটেছিল গত শুক্রবার।