ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলায় আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। এর ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৯,৭৫০ জনে পৌঁছেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায় আজ (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ৩৪ জনের মধ্যে ৯ জন গাজা সিটির তুফাহ এলাকার বাসিন্দা, ২ জন জেইতুন এলাকায়, ২ জন নেটজারিম করিডোরের কাছে আল-মোগরাকা এলাকায়, ৬ জন বেইত লাহিয়ায়, ১ জন দেইর এল-বালাহ’তে এবং ২ জন খান ইউনিসের বাসিন্দা ছিলেন।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে ৭ লেবানিজ নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই হামলার পর লেবাননে কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
কথিত রকেট হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বোমা হামলা চালায়, যার ফলে ৭ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হন। এই হামলার পর, চার মাস আগে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা টায়ার ও তুলিনে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, কারণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি শহর মেটুলায় তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত গাজায় ৬১,৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ফিরে আসার আহ্বানে হাজার হাজার ইসরায়েলি তেল আবিবের রাস্তায় নেমে এসেছেন। একই সঙ্গে তারা গাজা ভূখণ্ডে আটক অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি এবং বাড়িতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন।