ফিলিস্তিনের
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তীব্র আক্রমণের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে, হোয়াইট হাউসের সামনে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারা গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই
বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানান এবং গাজা ও পশ্চিমতীরের উপর
ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান চান। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ফিলিস্তিনি প্রতীক কেফিয়েহ স্কার্ফ পরিধান করেছিলেন, যা গাজা উপত্যকার
যুদ্ধবিধ্বস্তদের প্রতি তাদের সমর্থন প্রদর্শন করে। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— "ইসরায়েলে সব ধরনের মার্কিন
সহায়তা বন্ধ কর", "স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই", "যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমায় নিহত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা" ইত্যাদি।
২০২৩
সালের অক্টোবর মাসে হামাসের অব্যাহত হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যা ১৫ মাস
ধরে চলে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন,
কাতারি, এবং ইরাকি মধ্যস্থতায় ১৯ জানুয়ারি গাজায়
যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি ছিল তিন ধাপে বিভক্ত, যার মধ্যে প্রথম ধাপে, হামাস ও ইসরায়েল বন্দি
ও জিম্মি বিনিময় করার পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ ও খাদ্য সরবরাহ
স্বাভাবিক করার শর্তে সম্মত হয়।
এদিকে,
দ্বিতীয় ধাপে হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায়, কিন্তু ইসরায়েল এই বিষয়ে সতর্ক,
কারণ তাদের আশঙ্কা যে, সেনাদের ফেরত নিলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে।
সম্প্রতি,
হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্য ইদান আলেক্সান্দারসহ আরও তিন জন দ্বৈত নাগরিকের
মরদেহ ফেরত দেয়, তবে ইসরায়েল অভিযোগ করে যে, হামাস এই লোকদের হত্যা
করেছে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার
করেছে।
এতসব
উত্তেজনার মধ্যেই, সোমবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করে, যার ফলে ৪০০'রও বেশি ফিলিস্তিনি
প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বার্তায় জানিয়েছেন,
এই আক্রমণ কেবল "শুরু" ছিল, এবং ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে যে কোনো আলোচনা
যুদ্ধের মধ্যে হবে।