× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভারতে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ১৬৮ বছরের পুরোনো মসজিদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৭ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভারতের উত্তরপ্রদেশে ১৬৮ বছর পুরনো একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। র‍্যাপিড রেল ট্রানজিট নেটওয়ার্ক নির্মাণের জন্য প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই মসজিদটি ধ্বংস করা হয়েছে। 

গণমাধ্যম মুসলিম মিরর ও সিয়াসত ডেইলি, ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ধর্মীয় স্থানগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মিরাট শহরের কাঁচপুর পাঠাত্তা এলাকায় অবস্থিত ১৬৮ বছরের পুরনো এই মসজিদটি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

২১ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, পুলিশ বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে দিল্লি রোডে মসজিদটি ধ্বংস করা হয়। উত্তরপ্রদেশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, মসজিদটি এনসিআরটিসি র‍্যাপিড রেল সিস্টেম নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করছিল, তাই এটি ভাঙা হয়েছে। 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন মসজিদ ধ্বংসের পদক্ষেপ সমর্থন করেছে। প্রশাসন দাবি করেছে, রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি অপসারণ করা হয়েছে। 

মিরাট শহরের পুলিশ সুপার (এসপি) আয়ুশ বিক্রম সিং বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মসজিদটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 

এদিকে, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, এটি রাজ্য সরকারের মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে চলমান ধ্বংস অভিযান এবং মুসলিম সম্পত্তিকে টার্গেট করার একটি অংশ। 

অ্যাডভোকেট শের আফগান বলেছেন, "এটি একেবারে অবিচার," এবং সুলতান আখতার জানিয়েছেন, "এটি ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের অবকাঠামো ধ্বংসের মতো, যোগী আদিত্যনাথের সরকার মুসলিমদের সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করছে।" 

এর আগে, ৯ ফেব্রুয়ারি, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ কর্তৃপক্ষ হাতা নগরের মাদানী মসজিদ ভেঙে দেয়। 

মসজিদের প্রতিনিধি হাজি সালেহীন জানিয়েছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন, মসজিদটির ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে এবং এটি ১৮৫৭ সালের নথিতে প্রমাণিত। 

মসজিদটির মুতাওয়াল্লি হাজি সালেহীন আরও বলেন, প্রশাসনের সাথে আলোচনার পর মসজিদটি ভাঙার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তারা বাধ্য হয়েছেন, তবে মসজিদটি অত্যন্ত প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক হওয়ায় তারা পুরোপুরি সম্মত ছিলেন না।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.