হামাসের
ছয় জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির কথা ছিল। তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, "শেষে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।"
গতকাল
(২২ ফেব্রুয়ারি) হামাস ৬ জন ইসরায়েলি
জিম্মিকে মুক্তি দেয়, এর মধ্যে ৪
জনকে অপহরণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের
ভূখণ্ডে হামাসের হামলার সময়। হামাসের পক্ষ থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের বিনিময়ে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। এই ৬২০ জনের
মধ্যে ৪৪৫ জনকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, বাকিরা দীর্ঘ সময় ধরে বন্দি ছিলেন।
এ
বিষয়ে গত শনিবার, ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন,
“হামাসের অপমানজনক অনুষ্ঠান এবং জিম্মিদের অপপ্রচারের মাধ্যমে ব্যবহার করার কারণে, পরবর্তী ধাপে তাদের মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে যে, মুক্তির পরিকল্পনা করা ফিলিস্তিনি বন্দিদের এখন মুক্তি দেওয়া হবে না।”
চলমান
যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে আরও এক দফা জিম্মি
মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে চারজন জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার কথা, যারা জিম্মি অবস্থায় মারা গেছেন। জীবিত বাকি জিম্মিদের মুক্তি এখনও নিশ্চিত হয়নি, তবে তাদের মুক্তি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে হতে পারে।
গাজায়
যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১৯ জানুয়ারি থেকে।
এর শর্ত অনুযায়ী, হামাস ২৫ জন জিম্মিকে
মুক্তি দিয়েছে। মুক্তির সময় বিশেষ একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে হামাস যোদ্ধারা জিম্মিদের মুখোশ পরিয়ে মঞ্চে নিয়ে যান এবং তাদের হাত নাড়াতে ও বক্তব্য দিতে
বলে। এ ধরনের অনুষ্ঠান
ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে গভীর সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যেহেতু এটি জিম্মিদের অপমানজনকভাবে ব্যবহারের এক উদাহরণ হিসেবে
দেখা হচ্ছে, যা নেতানিয়াহু প্রশাসন
প্রত্যাখ্যান করেছে।