ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বের শীর্ষ দাতা দেশ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র নিজের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল এবং মিসর ব্যতীত অন্য সব দেশে সহায়তা প্রদান করা স্থগিত করেছে। গতকাল (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
বিবৃতিতে রুবিও বলেন, “আপাতত জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং মিসর ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রাদন করার ছাড়া আর কোনো দেশে এবং বৈশ্বিক কোনো খাতে অর্থ সহায়তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিগত প্রশাসনের আমলে যেসব সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল, এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে এ ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যাচাই শেষ হতে অন্তত ৮৫ দিন লাগবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও সামরিক খাতের জন্য বড় একটি আঘাত হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে ইউক্রেনের জন্য, যে দেশটি রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বিগত বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক ও বাজেট সহায়তা পেয়েছে।
এছাড়াও, মার্কিন সরকারের অধীন বৈশ্বিক কল্যাণমূলক সংস্থা প্রেসিডেন্ট’স ইমারজেন্সি রিলিফ ফর এইডস রিলিফ (পেপফার) এ সিদ্ধান্তের ফলে গুরুতর ঝুঁকিতে পড়েছে। এই সংস্থাটি এইডস রোগের উচ্চতর গবেষণা এবং বিশেষ করে আফ্রিকার এইডসপীড়িত দেশগুলোতে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহের জন্য নিবেদিত ছিল। ২০০৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই সংস্থাটি উদ্বোধন করেছিলেন।
এমনকি, এই পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। কারণ যদিও ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলভুক্ত দেশ নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং এশিয়ার উন্নত দেশ জাপান প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর অর্থসহায়তা দিয়ে থাকে, কিন্তু এখনও সহায়তা প্রদানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করেছে দেশটি।
এই বিপুল পরিমাণ অর্থসহায়তা প্রদানের একটি বড় কারণ হলো— ওয়াশিংটন বরাবরই অর্থসহায়তা প্রদানকে তার পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে মনে করে।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে বিদেশি সহায়তা প্রদান স্থগিত বিষয়ক একটি আদেশও ছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য ছিলেন মার্কো রুবিও। সিনেট সদস্য থাকাকালে একাধিকবার তিনি বিদেশে সহায়তা প্রদান অব্যাহত শুক্রবারের বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রুবিও বলেন, “বিগত প্রশাসনের আমলে যেসব বিদেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছিল এবং দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল, সেগুলোর সব যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না— যা পরীক্ষা না করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া অসম্ভব।”
সূত্র: এএফপি/ এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh