বহুল প্রতীক্ষিত
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, অবশেষে প্রায় তিন ঘন্টা বিলম্বের পরে চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে
ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আজ (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হামাস যে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তাদের নামের তালিকা
না দেওয়ায় গাজায় হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েল।
ইসরাইল
চুক্তি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনে মুক্তি পাওয়া তিন বন্দীর নামের তালিকা গ্রহণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে,
ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে তিন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। তারা নিশ্চিত
করেছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই তিন নারী সবার প্রথমে মুক্তি পাবেন। তারা হলেন রোমি
গোনেন, এমিলি দামানি এবং দোরোন স্টেনব্রিচার।
এছাড়া
যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোও জানিয়েছে, হামাস তাদের কাছে তিন জিম্মির নাম হস্তান্তর করেছে।
ইসরায়েল
এর আগে জানায়, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা না দেবে ততক্ষণ
পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। তাই সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও; তাদের সেনারা হামলা অব্যাহত রাখে। এতে করে যুদ্ধবিরতিটি শুরু হওয়ার দিনই ১০ জন নিহত
হয়েছেন।
চুক্তি
অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রথম দিনে তিনজন ইসরাইলি বন্দী এবং প্রায় ৯৫ জন ফিলিস্তিনি
বন্দী মুক্তি পাবে।
ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি ঘোষণা দিয়েছে।
২০২৩
সালের ৭ই অক্টোবর থেকে
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪৬,৮৯৯ ফিলিস্তিনি
নিহত এবং ১১০,৭২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ওই দিনে ইসরাইলে
কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত এবং
২০০ জনেরও বেশি বন্দী হয়েছিল।
সূত্রঃ আল-জাজিরা,
বিবিসি