ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক, কারণ তার খালার, অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর মান সংক্রান্ত উপদেষ্টা (ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেছিলেন। মন্ত্রীদের আচার-আচরণ, নীতিনৈতিকতা বিষয়ে ম্যাগনাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। ওই তদন্ত চলার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক।
টিউলিপ সিদ্দিক গত বছর লেবার পার্টির মনোনয়নে টানা চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর গত জুলাইয়ে তাঁকে ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেয় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার নেতৃত্বাধীন সরকার।
সিদ্দিক, যিনি সিটি এবং দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী ছিলেন, দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দ্বারা কোনও নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে পাওয়া যায়নি।
তবে, কিয়ার স্টারমারকে পরামর্শ দেওয়ার সময় ম্যাগনাস বলেছেন যে, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সঙ্গে তার পরিবারের সম্পর্ক থেকে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকির ব্যাপারে আরও সচেতন হতে পারতেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীকে তার চলমান দায়িত্বগুলো নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শও দিয়েছেন।
আজ (১৪ ডিসেম্বর) পদত্যাগের সময়, টিউলিপ জানিয়েছেন যে তিনি তার সব আর্থিক সম্পর্ক এবং সম্পত্তি সঠিকভাবে ঘোষণা করেছেন। তবে এই পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত বছরের ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর চাপ ছিল লন্ডনের কিংস ক্রসের কাছে একটি দুই-কক্ষের ফ্ল্যাট এবং হ্যাম্পস্টেডের একটি আলাদা বাড়িতে থাকার জন্য।
উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, পেনসনমন্ত্রী এমা রেনল্ডস টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হবেন।