× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভারতে ভাঙা হল ১৮৫ বছরের পুরোনো নূরী মসজিদের একাংশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪০ পিএম । আপডেটঃ ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪০ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভারতের উত্তর প্রদেশের (ইউপি) ফতেহপুর জেলার ১৮৫ বছরের পুরনো নূরী জামে মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, মসজিদের এই অংশটি বান্দা-বাহরাইচ হাইওয়ের অংশে অবৈধভাবে করা হয়েছিল।

গতকাল (১০ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গতকাল (১০ ডিসেম্বর) উত্তরপ্রদেশে ১৮৫ বছরের পুরোনো একটি মসজিদের একাংশ ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, "মঙ্গলবার বান্দা-বাহরাইচ হাইওয়ে নম্বর ১৩-এর সম্প্রসারণের জন্য বাধা হয়ে থাকা ২০ মিটার পরিষ্কার করতে নূরী মসজিদ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন ধ্বংসাবশেষ সরানো হচ্ছে।"

জেলা প্রশাসনের দাবি, মসজিদের ভেঙে ফেলা অংশটি বেআইনি ছিল। তাদের দাবি, ভাঙা অংশটি গত দুই-তিন বছরে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি অবৈধ। স্যাটেলাইট ও ঐতিহাসিক চিত্রের ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়েছে। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) দাবি করেছে, তারা গত ১৭ আগস্ট তাদের “অবৈধ নির্মাণেরকারণে মসজিদের কিছু অংশ সরানোর নোটিশ দিয়েছিল। তাই নির্ধারিত সময়ের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকে মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়।

ভারতের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডাব্লিউডি) জানিয়েছে, তারা ১৭ আগস্ট মসজিদের কিছু অংশ অপসারণের জন্য নোটিশ দিয়েছিল, কারণ ওই অংশ অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদ কর্তৃপক্ষকে এক মাস সময় দেওয়া হলে তারা প্রতিশ্রুতি দেয় নির্দেশনা মোতাবেক পদক্ষেপ নেবে তারা। তবে তারা এও জানিয়েছে, এই আদেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নূরি মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মঈন খান পিডাব্লিউডি-এর দাবি অস্বীকার করে বলেন, "নূরী মসজিদ ১৮৩৯ সালে নির্মাণ করা এবং এই রাস্তা ১৯৫৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু পিডাব্লিউডি কিছু অংশকে অবৈধ দাবি করছে।"

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালত থেকে এই বিষয়ে কোনও আদেশ আসার আগেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের ভাষ্য, আদালতে আবেদন জমা পড়েছে তবে তা শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অবিনাশ ত্রিপাঠি বলেছেন, মসজিদের যে অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে তা তৈরি হয়েছিল তিন বছর আগে।

উল্লেখ্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, বিচারবিভাগীয় নির্দেশ ছাড়া বুলডোজার দিয়ে কোনও অবকাঠামো গুড়িয়ে দেওয়া আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।

এই ঘটনার পর পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে নানা কারণে দেশটির নাগরিক এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চালানো অবদমনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়।

 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.