ভোট গ্রহনে যে শুধু পৃথিবীর মানুষরাই অংশ নিতে পারবে, বিষয়টি এমন নয়। ইন্টার্নেটের যুগে এখন মহাকাশ থেকেও ভোট দিতে পারে নভোচারীরা। তেমনি এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মহাকাশ থেকে ভোট প্রদানে অংশ নিয়েছেন ৪ জন নভোচারী।
নিক হেগ, উইলমোর, সানি উইলিয়ামস ও ডন পেটিটের কাছে মহাকাশে ডেটা পাঠানোর মতোই মিশন কন্ট্রোল থেকে স্পেস স্টেশনে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়। সেখানে তারা ব্যালট পেপার পূরণ করে স্বাক্ষর করেন। তারপর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পিডিএফ ফাইল আকারে তারবার্তার মাধ্যমে পৃথিবীতে নাসার কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গতকাল (৫নভেম্বর) ইনস্টাগ্রামে নিজেদের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে লিখা ছিল: ‘আপনি বসে, দাঁড়িয়ে বা ভাসছেন, তাতে কিছু যায় আসে না—ভোট দেওয়াটাই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ!’ সেখানে দুই নভোচারীর মোজায় লেখা ছিল, ‘আমেরিকান হিসেবে গর্বিত।‘
এ বছরের জুন মাসে বুচ উইলমোর ও সানি উইলিয়ামস আট দিনের মিশনে আইএসএস-এ পৌঁছান। পরে বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলের বিভিন্ন সমস্যার কারণে পৃথিবীতে নির্ধারিত সময়ে ফিরে আসতে পারেনি তারা।
সেপ্টেম্বরের দিকে মহাকাশচারীরা একটি সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করেছিলেন, পৃথিবী থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকবে তারা।
উইলমোর বলেন, ‘আমি আজ একটি ব্যালটের জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছি এবং তাদের উচিত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্পেস স্টেশন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে নভোচারী সানি উইলিয়ামস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যা নাগরিক হিসেবে আমাদের রয়েছে এবং আমি মহাকাশ থেকে ভোট দিতে সক্ষম হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি, যা বেশ দুর্দান্ত অনুভূতি।‘
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে মহাকাশ থেকে ভোট দেয়ার অধিকার পায় মহাকাশচারীরা। স্মিথসোনিয়ান এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম অনুসারে, নির্বাচনের দিন একটি এনক্রিপ্টেড ইলেকট্রনিক ব্যালট মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়, যেটির মাধ্যমে ভোট প্রদান করে তা হ্যারিস কাউন্টি ক্লার্কের অফিসে ফেরত পাঠায় মহাকাশচারীরা।