যুক্তরাষ্ট্রে
চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটির কয়েক কোটি জনতা যখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভোটটি দিতে
যাবেন তার ঠিক আগ মুহূর্তেই ট্রাম্পের সমর্থনে নিজ মাইক্রো ব্লগিং সাইট 'এক্স' এ এক
বিতর্কিত ভিডিও শেয়ার দেন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। এখ পর্যন্ত ভিডিওটি ৪কোটি ৫০ লাখ ভিউ পেয়েছে।
ইলন মাস্কের শেয়ারকৃত ভিডিও
বেশ কয়েকবছর
আগে একটি কিউ-অ্যানন নামের একটি মুভমেন্ট , বৈশ্বিক একটি গোপন সংগঠনের ব্যাপারে কন্সপিরেসি থিওরী
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়। আমেরিকার একটি অন্ধকার জগৎ এর ব্যাপারে ধীরে ধীরে নেটিজেনরা জানতে পারে। কিউ-অ্যানন দাবি করে, ঐ গোপন সংগঠনটি আমেরিকার এই বড় অন্ধকার জগৎটা নিয়ন্ত্রণ করে।
তাদের দাবি এই গোপন সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী সেক্স ট্রাফিকিং, বিকৃত যৌনাচারের
উদ্দেশ্যে শিশু পাচার, শয়তানের উপাসনা ইত্যাদির সাথে জড়িত। এই গোপন সংগঠনটির সাথে হলিউডের
বড় বড় তারকা, ডেমোক্র্যাট পার্টির সঙ্গে জড়িত অনেক প্রভাবশালী ব্যাক্তি, সরকারী উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তা, বড় বড় ধনকুবের, এমনকি ব্রিটিশ রাজপরিবারের অনেকেও যুক্ত আছেন এবং বিশ্বব্যাপী
এটি একটি 'ওপেন সিক্রেট'। সংগঠনটির সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের সংযোগ আছে বলেও প্রচলিত
আছে কিউ-অ্যানন সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে। ইহূদিদের ও একটি বড় অংশ এই সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে তারা।
মাস্কের শেয়ারকৃত
ভিডিওটি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে পোস্ট দেয় কিউ-অ্যানন সমর্থকগোষ্ঠী। কেননা তারা মনে করে ট্রাম্প ঐ 'কাল্ট' সংগঠনটির বিরুদ্ধে গোপনে
লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গ্যরাজ্যের টাম্পা শহরে,২০১৮ সালের জুলাইয়ে মিড-টার্ম নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণা র্যালিতে কিউ-অ্যানন এর সমর্থকরা সর্বপ্রথম যোগদান করে। তাই বিষয়টি মোটেও গোপন নয়। কিউ-অ্যানন এর সমর্থকরা বিশ্বাস করে ট্রাম্পই ঐ 'কাল্ট' সংগঠনটির মুখোশ খুলে দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত কিউ- অ্যানন অতি-ডানপন্থি, ইহূদিবিদ্বেষী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। ২০১৭ সালে এদের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
সূত্রঃ ওয়াশিংটন পোস্ট।