৩ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দুইজন প্রভাবশালী প্রধান হারালো ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। গত ১৬ই অক্টোবর ইয়াহিয়া সিনওয়ার এর মৃত্যুর পর থেকেই মূলত জল্পনা কল্পনা শুরু হয় কে হতে যাচ্ছে হামাসের নতুন প্রধান। যদিও দক্ষতার সাথে নেতৃত্বের শূন্যস্থান পূরনে হামাসের মতো এতো দক্ষতা দেখাতে পারেনি অন্য কোন সংগঠন।
মূলত, শুরা কাউন্সিল হামাসের নতুন নেতা বাছাইয়ের শীর্ষ এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে থাকে। এই শুরা কাউন্সিল শুধুমাত্র নতুন নেতা বাছাইয়েই নেই এটি গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, ইসরায়েলি কারাগার এবং ফিলিস্তিনি প্রবাসীদের সকল হামাস সদস্যদের প্রতিনিধিত্বও করে।
অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দেশ ইরানের প্রভাব থাকবে তাই ই নয়, এক্ষেত্রে আরব সাগরীয় দেশগুলির মতামত কেও প্রাধান্য দিতে হবে। এই দেশগুলির মধ্যে কাতার অন্যতম। ইতিমধ্যে হামাসের সাথে পশ্চিমাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে দেশটি।
তবে, হামাসের পরবর্তী নেতা হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করছে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই, হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ সিনওয়ার কে। বড় ভাইয়ের মতো তিনিও কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী।
অন্যদিকে, হামাসের সম্ভাব্য প্রধানদের মধ্যে অন্যতম মুসা আবু মারজুকও রয়েছে। বর্তমানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতেও ভূমিকা ছিল তার।
এদিকে, হামাস প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন অন্যতম প্রভাবশালী নেতা খালেদ মেশালও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হামাসের রাজনৈতিক শাখার এই সাবেক প্রধান। অতীতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সহ বহু আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি।
মোহাম্মদ সিনওয়ার, মুসা আবু মারজুক, খালেদ মেশাল ছাড়াও হামাস প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সিনওয়ারের সহকারি খলিল আল হায়াত। অবশ্য, সম্প্রতি কায়রোয় অনুষ্ঠিত গাজায় যুদ্ধ বিরতি আলোচনায় হামাসের পক্ষ থেকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সিনওয়ার এর মৃত্যুর পরই তিনি ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা গাজা থেকে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এবং যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ই অক্টোবর গাজার একটি ভবনে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার।