লেবাননে হিজবুল্লাহর
সদরদপ্তরে ইসরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তাশঙ্কায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয়
নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।আজ (২৮ সেপ্টেম্বর)
দেশটির দুজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল
(২৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের
সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, এই হামলায় নাসরুল্লাহ
নিহত হয়েছেন। এরপরই ইরানি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার খবর জানা গেলো।
ইরানের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। নাসরুল্লাহর উপর হামলার জবাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া
হবে সেটি এখন ঠিক করা হবে।
গতকাল
বিকেলে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু
করা হয় হিজবুল্লাহর সদর
দপ্তরকে। হামলার সময় নাসরুল্লাহ সদর দপ্তরে ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় ২
হাজার কেজির বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। আর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া
হয় অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান
থেকে। গতকাল স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও আজ
শনিবার সকালে ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নাসরুল্লাহ।
গত
বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে
যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসকে সহযোগিতা করতে এরপরের দিন থেকে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। এতদিন যুদ্ধ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে
থাকলেও; দুই সপ্তাহ আগে থেকে ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা শুরু করে। তারা পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ
ঘটিয়ে হিজবুল্লাহর কয়েক হাজার যোদ্ধাকে আহত করে। এরপর বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে একাধিক কমান্ডারকে। সর্বশেষ নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা।