হত্যার উদ্দেশ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এফবিআই)।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসির
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক সাংবাদিকদের বলেন, আজ সন্ধ্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাকে আমরা হত্যাচেষ্টাই বলছি।
তার এমন বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার হলো যে, হামলাকারী ট্রাম্পকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন ট্রাম্প। তার কানে গুলি লাগে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
আকস্মিক ওই হামলার বিষয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার কানে গুলি করা হয়েছে। তিনি জানান, তার মনে হচ্ছিল কান ঘেঁষে একটি বুলেট চলে গেল। হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটে গেছে। আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে কী ঘটেছে। পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।
তবে হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।