ক্যারিবীয় কিছু দ্বীপে তাণ্ডব চালানোর পর এবার জ্যামাইকায় আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বেরিল। স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জুলাই) ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার বেগে বিপজ্জনক ক্যাটাগরি-৪ ঘূর্ণিঝড়টি দ্বীপটির দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে। এতে তীব্র বাতাসের সঙ্গে ক্যারিবীয় দেশটিতে প্রবল বৃষ্টি হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া ছবিগুলোতে প্লাবিত রাস্তা ও প্রবল বাতাসে উড়ে যাওয়া ছাদবিহীন ভবন দেখা যায়।খবর বিবিসির
দক্ষিণ সেন্ট এলিজাবেথ প্যারিসের গ্রামীণ কৃষক সম্প্রদায়ের বাসিন্দা অ্যামোয় ওয়েলিংটনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ‘এটির (ঘূর্ণিঝড় বেরিল) আঘাত ভয়াবহ। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়িতে আছি। খুব ভয় পাচ্ছি।’
বিপজ্জনক এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জ্যামাইকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস এর আগে জনসাধারণকে এ ঘূর্ণিঝড়কে গুরুত্ব সহকারে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা যারা নিচু, বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অথবা নদীর তীরে অবস্থান করছেন, আমি তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে বা নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে এখন পর্যন্ত সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে গ্রানাডায় তিনজন মারা গেছে। সোমবার (১ জুলাই) সবার প্রথমে দ্বীপটিতে বেরিল আঘাত করেছে। বাকি চারজনের একজন সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসে এবং অন্য তিনজন উত্তর ভেনিজুয়েলার বাসিন্দা।
এদিকে, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বেরিলের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।
এর আগে, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস বলেন, ক্যারিবীয় দ্বিপপুঞ্জের সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। ইউনিয়ন দ্বীপের ৯০ শতাংশ বাড়িঘর গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।