পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকার দেশ নাইজেরিয়ায় বেশ কয়েকটি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।
স্থানীয় সময় শনিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্দেহভাজন বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো রাজ্যে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির
প্রদেশের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা গোওজা শহরের একটি বিয়ে, শেষকৃত্য এবং একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
বোর্নো রাজ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরেই জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম সক্রিয় রয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও ২০ লাখের বেশি মানুষ।
২০১৪ সালে চিবোক শহর এবং বোর্নো রাজ্য থেকে ২৭০ জনের বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে বোকো হারাম।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক মোট ১৮ জন নিহত হয়েছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। নাইজেরিয়ার ভ্যানগার্ড এবং দিস ডে পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফারণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।
কয়েকটি স্থানে একসঙ্গে হামলার পর কারফিউ জারি করেছে সামরিক বাহিনী। এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
২০১৪ সালে গোওজা শহরের দখল নেয় বোকো হারাম। পরবর্তীতে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে বোকো হারামের কাছ থেকে শহরটি মুক্ত করে। এরপর থেকেই ওই শহরের আশেপাশে হামলা এবং অপহরণ করে যাচ্ছে জঙ্গিরা।
গত নভেম্বরে প্রতিবেশী ইয়োব রাজ্যে একটি শেষকৃত্যু অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার সময় বোকো হারামের হামলায় ২০ জন নিহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলার একদিন আগেই গুরুকায়েয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। গ্রামবাসীরা তথাকথিত ফসলের কর দিতে অস্বীকার করায় সেখানে অভিযান চালানো হয়।