ইউক্রেনে রুশ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেশটির কয়েক ডজন নাগরিক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্টোভিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। হতাহতদের মধ্যে কোনো বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন কিনা, সেটা তিনি নিশ্চিত করেননি।
ইউক্রেনের ম্যারিউপল শহরেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ওই শহরের মেয়র দাবি করেছেন, সেখানে রুশ হামলায় অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন ছয়জন। শহরটির মেয়র ভ্যাদিম বয়চ্যাঙ্কো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রুশ বাহিনী শহরটির বিমানবন্দর ও এর পাশের একটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া এ হামলা অব্যহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। তিন দিক থেকেই চলছে এ হামলা। এর জেরে ইউক্রেনের উপর দিয়ে বিমান চলাচল স্থগিত রেখেছে বিশ্বের অন্য দেশগুলো। কিয়েভ থেকে বিবিসি’র কূটনৈতিক প্রতিবেদক পল অ্যাডামস জানাচ্ছেন, রুশ বাহিনী কয়েকটি দিক থেকে ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে।
ইউক্রেন বলছে, রুশ সেনাবাহিনীর যানবাহন উত্তরে বেলারুশ ও দক্ষিণে ক্রিমিয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি অংশ দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চলে খারকিভ এবং লুহানস্ক অঞ্চল দিয়ে রুশ বাহিনী প্রবেশ করেছে।
কিয়েভে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতে শহরের মানুষ আশ্রয় নিতে জড়ো হচ্ছেন। অনেকে বাসে করে শহর ছেড়ে যেতে উদ্যত হচ্ছেন। এছাড়া মহাসড়কে শহর ছাড়তে চাওয়া গাড়ির লম্বা লাইনও দেখা গেছে। রুশ হামলার মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শোনা গেছে বিস্ফোরণের একাধিক শব্দ। আতঙ্কে বহু লোক বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। বহু মানুষ শহরের আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশনগুলোতে আশ্রয় নেয়। বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।