× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৮ পিএম

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। অবশ্য এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দেশটির পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। শক্তিশালী এই কম্পনের জেরে সুনামি সতর্কতাও জারি করেনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বললেও ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (বিএমকেজি) বলছে ভূমিকম্পটি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ছিল। অন্যদিকে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস দাবি করেছে এটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।

এটির কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের রাজধানী কুপাং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় এলাকায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৫.৫ মাইল) গভীরে।

রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবারের এই ভূমিকম্পে পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া বিভাগের ভূমিকম্প ও সুনামি কেন্দ্রের প্রধান ড্যারিওনো বলেছেন, ভূমিকম্পটির ফলে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সামান্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো তথ্য পাইনি।

ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ায় নিয়মিতই ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

৫ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ৫৬ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১০ জনে। তাছাড়া আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ।

এছাড়া ২০০৯ সালে পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পাদাংয়ে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তাতে ১১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে ও আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ধ্বংস হয়ে যায় বহু বাড়িঘর ও স্থাপনা।

তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। সে সময় ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি আঘাত হানে। একসঙ্গে দুই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তখন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।

মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থান হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। তবে শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই একই কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.