ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৯ শতাধিক মানুষ। দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন এক বার্তায় জানিয়েছে, সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াত করেন। এই বিবেচনায় দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং ওড়িশার রাজ্য সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা যোগাযোগ রাখছে।
এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপ-হাইকমিশনের ৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটস অ্যাপ) এই হটলাইন নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ওই ট্রেন থেকে কোনো বাংলাদেশির আহত বা নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার পর শঙ্কা করা হচ্ছিল হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও থাকতে পারে।
বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা করান কলকাতায়, অনেকে চলে যান চেন্নাই-বেঙ্গালুরুতে। এ ধরনের বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা সাধারণত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাতায়াত করেন। ফলে ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যেও। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। তাদের সুবিধার্থে একটি হটলাইনও চালু করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে যাত্রীবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালেশ্বরের পাশে বাহানগা বাজারের কাছে অপর একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়। এছাড়া আরেকটি মালবাহী ট্রেনও এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। অন্য যাত্রীবাহী ট্রেনটি হলো সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।