চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বরেলীর বারাদারি এলাকায়। যদিও ওই পাত্রের সঙ্গে কনের আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন জেলার বারাদারিতে বসবাস করেন ওই যুবক। আড়াই বছর সম্পর্কে থাকার পর দুই পরিবারের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্প্রতি তাদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। গত রবিবার বরেলীর ভূতেশ্বরনাথ মন্দিরে বিয়ে দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বিয়ের দিন পাত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা যথাসময়ে মন্দিরে পৌঁছলেও যাননি পাত্র। এমনকি তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সেখানে দেখা যায়নি। অনেক অপেক্ষার পর পাত্রকে ফোন করা হলে, তিনি জানান, মাকে আনতে বদায়ুন যাচ্ছেন তিনি। মাকে নিয়েই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে।
এ কথা শোনামাত্রই সন্দেহ হয় কনের! তার মনে হয় বিয়ের আগেই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন হবু স্বামী। এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে একটি গাড়িতে উঠে বরকে ধাওয়া করেন কনে এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
একপর্যায়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ভীমোরা থানার কাছে হবু স্বামীকে ধরে ফেলেন তিনি। একটি বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়েন কনের হবু ওই স্বামী। এর পর সরাসরি পাত্রকে নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে চলে যান কনে। উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে ভীমোরা মন্দিরে বিয়ে হয় তাদের।