অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি শহর। দেশটির সেনাবহিনীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে রাখাইন রাজ্যের থানদউয়ে বিমানবন্দরে একটি ভবন ধসে পড়েছে। সেখানকার বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ভেঙে পড়েছে।
এছাড়া প্রবল ঝড়বৃষ্টির সাথে বাড়তে শুরু করেছে পানির প্রবাহ, ইতোমধ্যে সিতওয়েতে হাঁটু পানি জমে গেছে। বাসিন্দারা জরুরি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের দেয়া বিভিন্ন নম্বরে।
রোববার দুপুর ১২টার পর থেকেই বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করে। এর প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসতবাড়ি বিশেষ করে টিনের বাড়িঘর এবং অস্থায়ী আবাস ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। অনেক বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে ঝড়ে।
সিত্তওয়েতে মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে ঝড়ে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই দেশটিতে, ওয়াইফাই সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য এখন শুধু মোবাইল ডাটাই কাজ করছে মিয়ানমারে।
মিয়ানমারের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র সিত্তওয়ে উপকূল অতিক্রম করে যাবে এবং ঝড়ের প্রভাব ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে দুপুরে দেশটির আবহাওয়া পূর্বাভাসে মোখাকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাদামী বা ‘ব্রাউন’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৭ মাইলের মতো।
রোববার সকালে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি রাখাইন উপকূলে আঘাত হানে, সকাল থেকেই সেখানে দমকা হাওয়াসহ থেকে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
এই রাজ্যের ৭টি শহরকে ইতোমধ্যে বিপদজনক ‘লাল’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ মাইল রেকর্ড করা হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের রাসায়ে পর্বতের এক বাসিন্দা বলেন, পুরো রাসায়ে পর্বতের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা সবাই শহরে চলে গেছেন। গ্রামে বৃষ্টি তেমন নেই। তবে অনেক বাতাস বইছে। এছাড়া সিত্তওয়ে শহরে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে শুরু হয়েছে।