ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামীতে আবারও প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াইয়ে নামবেন বলে জানিয়েছে লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ ও দ্য টাইমস।
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দ্য টাইমস জানিয়েছে, জনসন বিশ্বাস করেন এটি জাতীয় স্বার্থ। দায়িত্বে ফিরতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি। সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকও প্রতিদ্বন্ধিতা করার সিগন্যাল দিয়েছেন।
বরিসের একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর বরাত দিয়ে গণমাধ্যম দু’টো জানিয়েছে, টোরি পার্টির নীতি-নির্ধারকদের একটি অংশ মনে করেন- বরিস জনসনের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। সময়ের আগেই তাকে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় দেয়া উচিত হয়নি। এসব নীতি-নির্ধারকদের সিংহভাগের ধারণা, এখনও দেশকে অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে বরিস জনসনের।
গত জুলাইয়ে একটি অপমানজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে হয় বরিস জনসনের। কভিড মহামারির সময়ে লকডাউনের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে নিজ বাসভবনে জমকালো পার্টির আয়োজন করেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে শেষ পর্যন্ত সরকারের শীর্ষ পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনকালীন প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারায় দায় নিয়ে ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।