ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মালাং শহরে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পদদলনে মৃত্যু বেড়ে ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৪০ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ফুটবল ম্যাচগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনর্মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে সংঘর্ষ ও পদদলনের ঘটনায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর আজ রোববার এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির
গতকাল শনিবার রাতে মালাং শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা চলছিল। খেলায় আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া।
ইন্দোনেশিয়া পুলিশ বলছে, হারের পর স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকেরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এতে দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় হুড়োহুড়িতে অনেকেই পদদলনে নিহত হন।
আজ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো দেশটির সকার অ্যাসোসিয়েশনকে বলেছেন তারা যেন এ ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত লিগা ওয়ান ম্যাচগুলো স্থগিত রাখে। গতকালের ঘটনাটিই যেন দেশের ‘সবশেষ ফুটবল ট্র্যাজেডি’ হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান নিরাপত্তামন্ত্রী মাহফুদ এমডি বলেছেন, গতকাল রাতে ওই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। ওই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৮ হাজার। তবে গতকাল সেখানে ৪২ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ফিফা বলছে, খেলার ম্যাচগুলোতে পুলিশের ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণ গ্যাস’ ব্যবহার করা উচিত নয়। ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) বলেছে, তারা তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ‘ইন্দোনেশীয় ফুটবলের ভাবমূর্তি বিবর্ণ’ করেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচগুলোতে সহিংসতার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আরেমা এফসি এবং পেরসেবায়া সুরাবায়াও দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী।
আরও পড়ুন
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে সংঘর্ষে নিহত ১২৯