নজিরবিহীন চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিলেন তিনি। খবর বিবিসি’র।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে ডাউনিং স্ট্রিটের দরজার সামনে সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় বরিস বলেন, 'নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত। আজ আমি একটি মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিয়েছি। একজন নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করবো'।
বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালান বরিস। তবে দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের পদত্যাগ চলতে থাকায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, তাঁকে সরে যেতে হবে এবং সরকার চালানো সম্ভব হবে না।
বিবিসি পলিটিক্যাল এডিটর ক্রিস মেসন সরাসরি সম্প্রচারে জানান, দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বরিস। আর এরই মধ্য দিয়ে প্রায় ৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তার অবসান ঘটে।
এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের খবরে জানায়, সরকারের আইনপ্রণেতাদের চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বরিস জনসন।
গত তিন দিন ধরে ক্ষমতাসীন কনজানরভেটিভ পার্টির মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা যাচ্ছে। মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক সদস্য পদত্যাগ করায় চাপের মুখে পড়েন বরিস জনসন।
লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মদের পার্টি, বিতর্কিত নিয়োগ আর কেলেংকারিতে জড়ানোয় গত মাসেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বরিস জনসনের নেতৃত্ব। এরপর থেকেই তার পদত্যাগের বিষয়টি সামনে আসে।