ফোর্বসের ৩৬তম বার্ষিক বিলিয়নিয়ার তালিকায় ৭৫টি দেশ বা ছয়টি মহাদেশের নাগরিকেরা স্থান পেয়েছেন। এই বছর বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২,৬৬৮ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২,৭৫৫ জন। অর্থাৎ বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এই সংখ্যা কমার প্রধান কারণ হল করোনা মহামারি।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক নামকরা ধনী বা কোম্পানি যেমন সম্পদ হারিয়েছে, তেমনি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে অনেকে।
ফোর্বস অনুসারে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ৭৩৫ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। ফলে বিলিয়নিয়াদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে দেশটি। এক বছর আগে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে এই সংখ্যা ছিল ৭২৪ জন। সব মিলিয়ে, আমেরিকার এই অভিজাত শ্রেণীর লোকদের মোট সম্পদের মূল্য ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলার যা গত বছরের ৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে অনেকটা বেশি। বিশ্বের ১০টি ধনী ব্যক্তির মধ্যে আটজনই আমেরিকান। বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর ধনী হলেন টেসলার সিইও এলন মাস্ক।
আমেরিকার পর সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছে চীনে। সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে এই সংখ্যা ৫৩৯ জন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত এই তালিকার তৃতীয় স্থান দখল করেছে। দেশটিতে বিলিয়নিয়ার রয়েছে ১৬৬ জন। অন্যদিকে ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি জার্মানিতে রয়েছেন ১৩৫ জন বিলিয়নিয়ার।
ইউক্রেন আক্রমণের কারণে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে এই মুহূর্তে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৮৩ জন।
রাশিয়ার পরের স্থানটি দখল করেছে হংকং। সেখানে এই অভিজাত শ্রেণীর লোকদের সংখ্যা ৬৭ জন। জাস্টিন ট্রুডোর দেশ কানাডাতে এই অতি ধনীদের সংখ্যা ৬৪ জন।
এরপর রয়েছে ব্রাজিল, ইতালি ও তাইওয়ান। দেশগুলোতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা যথাক্রমে ৬২, ৫২ ও ৫১ জন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী, ক্যাঙ্গারুর দেশ অষ্ট্রেলিয়ায় এই ধনীদের সংখ্যা ৪৬ জন। বিশ্বের সুখী দেশের তকমা পাওয়া সুইজারল্যান্ড রয়েছে এর স্থানে। দেশটিতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৪১ জন।
প্রতিবেশী কিম সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে প্রায় সময় দুশ্চিন্তায় থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে এই অধিক সম্পদশালীদের সংখ্যা ৪১ জন।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-সেভেনে এশিয়ার প্রতিনিধি হচ্ছে জাপান। এখানে ৪০ জন বিলিনিয়ার বাস করেন। বিলিয়নিয়ার রয়েছে ইন্দোনেশিয়াতেও। বালি দ্বীপের দেশটিতে এই অতি সম্পদশালী রয়েছেন ৩০ জন।