মধুপুর গড়াঞ্চল ঘেঁষা ফুলবাড়ীয়া, মুক্তাগাছা,ঘাটাইল ও ভালুকা উপজেলার বনাঞ্চল থেকে বনাজী ঔষুধ তৈরির উপকরণ সংগ্রহ চলছে অতি প্রাচীন কাল থেকে। বনাজী ওষুধের উপাদান গাছগাছালী লতাপাতা শেকড় সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বনাজী মানুষরা। বনাজী ঔষধের অন্যতম উপাদান হচ্ছে আলকুশি। আলকুশি হচ্ছে বিলাইখামছি বা বিলাই আঁচড়া। পাকা বিলাইখামচির বীজের খোসা মখমলের মত নরম পশম একটু বাতাসের উড়তে থাকে। বনের বানর আলকুশীর চুলকানী থেকে বাঁচতে ভয়ে অনেক দুরে চলে যায়।
বানর ভয়ে পালালেও আলকুশী সংগ্রহে বন ধাপিয়ে বেড়ান বনাজী মানুষ। এক সময় এদের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখন তাদের সংখ্যা কমে গেছে। বন এলাকায় এখন এদের পাওয়া যায় কম। প্লাস্টিকের একটি বড় বস্তা পিটে চাপিয়ে হাতে লম্বা বাঁশ নিয়ে বনের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়ায় তারা। আলকুশি সংগ্রহ করার সময় অসাবধানতা বশত গাঁয়ে একবার লেগে মাটিতে গড়াগড়ি দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না জানান বনাজী হারেজ আলী।
বনাজী হারেজ আলী জানান, বন এলাকার বিভিন্ন বাজারে বনাজী গাছগাছালি শেকড় ও আলকুশী কেনার জন্য দোকান রয়েছে। বনাজীর সব চেয়ে বড় দোকান রয়েছে ঘাটাইল উপজেলার আবেদ আলী মার্কেটে। আমরা আলকুশীসহ অন্যান বনাজী ওষুধের উপকরন ওখানে বিক্রি করি। সেখান থেকে হামদদসহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী তা কিনে নিয়ে যায়। এখন আগের মত বন না থাকায় আলকুশীও আগের মত পাওয়া যায় না। তারপর বনাজীতেই চলছে সংসার।