× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

এক সময়ের জনপ্রিয় আছড়া এখন চোখের আড়ালে

ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি।

০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৮ পিএম

ছবিঃ ছাইদুর রহমান নাঈম

আছড়া, নিড়ানি, হাতেটানা, একেক এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত৷ আবহমান গ্রাম বাংলায় একসময় এই আছড়ার ব্যাবহার ছিলো বহুল। এটি ছিলো কৃষি জমি চাষাবাদের প্রাচীন জনপ্রিয় পদ্ধতি। কিশোরগঞ্জ জেলায় এটিকে আছড়া ও নিড়ানি হিসাবেই ডাকা হয়৷ 

কৃষকরা এটিকে ব্যাবহার করে জমি চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতো ৷ একসময় গরু,ঘোড়া দিয়ে এটির ব্যাবহার করা হলেও এখন কৃষক নিজেই হাতে টেনে ব্যাবহার করে থাকেন৷ বর্তমানে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে৷ ফলে এই আছড়ার দেখা মিলেনা সচরাচর৷ 

আছড়া তৈরির উপকার হচ্ছে কাঠ এবং তালের কাঠ এবং সুপারি কাঠ৷ এর হাতল দেওয়া হয় তাল বা সুপারি কাঠ দিয়ে৷ এখনো গ্রামের কৃষি জমিতে কদাচিৎ দেখা মিলে এর ব্যাবহার৷ কৃষকরা জানান, এই আছড়া একসময় গরু বা ঘোরা দিয়ে টানা হতো। এটি ছিলো খুবই পরিশ্রমের কাজ৷ এখন কৃষক নিজেই টানেন জমিতে৷ এটা দিয়ে আছড়া দিলে জমি মসৃণ হয়। মাটিতে রোদ পৌঁছে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে৷ 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ফসলের মাঠে কৃষকরা কাজে নেমেছেন৷ শীতকালীন ফসলের জন্য পুরোদমে জমি তৈরি করছেন৷ কৃষক নিজেই আছড়া দিয়ে টেনে দিচ্ছেন জমি। কিছুক্ষণ থেমে থেমে আবার একি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। 

কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ভিটাদিয়া গ্রামের কৃষক মতি মিয়া বলেন, আমার কাছে আছে এই আছড়া- নিড়ানি টার বয়স প্রায় শত বছরের৷ আমি ছোট থেকেই এটি আমার বাপ দাদাদের ব্যবহার করতে দেখছি৷ এখন আমিও ব্যবহার করছি। একসময় সবার কাছে থাকলেও এখন কয়েক গ্রাম ঘুরে একটা দেখা মেলা কঠিন৷ আমার থেকে অনেকেই নিয়ে এটা জমিতে ব্যবহার করেন। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.