শীতকালে
এলেই বুকে কফ জমে বিরক্তিকর এবং
একই সাথে যন্ত্রণাদায়ক শুষ্ক কাশি গলা চেপে ধরে। কাশতে কাশতে দম বেরিয়ে গেলেও না বের
হয় কফ না কমে কাশি। উলটো গলা থেকে শুউরু করে পুরো শরীর ব্যাথা হয়ে যায়। শুষ্ক কাশি বা ড্রাই কফ
মানে কাশির সঙ্গে কোনো কফ বা মিউকাস
বের হচ্ছে না। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কখনো কখনো এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি
হয়ে ওঠে, যা অনেক দিন
ধরে চলতে থাকে। চেষ্টা করেও কোনো কিছুতে কমানো যায় না। তবে, শুষ্ক কাশি হওয়ার কারণগুলো জানা এবং তা থেকে মুক্তি
পেতে কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
পরিবেশজনিত
কারণ: ঢাকা শহরের বাতাস এখন দূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই বাতাসে শ্বাস
নেওয়া যেমন কষ্টের, তেমনি হাঁচি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিত্যনৈমিত্তিক
ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের শুষ্ক কাশির সবচেয়ে বড় কারণ অতিরিক্ত
ধুলাবালি, যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া
আর পরিবেশদূষণ।
শীতের
শুষ্কতা: শীতে এই ঠান্ডা বাতাস
ও শুষ্ক আবহাওয়া শুকনা কাশির একটা বড় কারণ।
অ্যালার্জি:
বিভিন্ন রকমের ডাস্ট, ফুলের রেণু, পোষা প্রাণীর পশম ও কিছু খাবার
থেকে অ্যালার্জি হয় অনেকের। এই
অ্যালার্জির কারণে শুষ্ক কাশি হয়।
শ্বাসতন্ত্রের
সংক্রমণ: ভাইরাসজনিত ফ্লু বা সংক্রমণ, ব্রংকাইটিস,
অ্যাজমা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, টনসিলাইটিসে শুকনা কাশি হয়। এ ছাড়া যারা
আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ও ফুসফুসে ফাইব্রোসিস
হয়েছে, তাদের শুকনা কাশি হয় এবং তা
সহজে কমতে চায় না।
ধূমপান:
দীর্ঘদিন ধরে যারা ধূমপান করেন অথবা রাসায়নিক বা বিষাক্ত পদার্থের
সংস্পর্শে কাজ করেন, তাদের শুকনা কাশি একটি সাধারণ সমস্যা।
অ্যাসিড
রিফ্লেক্স: গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লেক্স বা পাকস্থলীর অ্যাসিড
খাদ্যনালিতে উঠে আসলে খাদ্যনালি ও গলায় জ্বালাপোড়ার
সৃষ্টি করে, যা শুষ্ক কাশি
সৃষ্টি করে।
কিছু
ওষুধ: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কিছু ওষুধ যেমন এসিই ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধে শুকনা কাশি হয়।
করণীয়
কী
• বাইরে
যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
• নিজেকে
হাইড্রেট রাখুন। বেশি করে পানি ও পানি-জাতীয়
খাবার খেতে হবে।
• গরম
পানীয় যেমন আদা, পুদিনা পাতা, লবঙ্গ দিয়ে বানানো চা শুষ্ক কাশিতে
আরামদায়ক।
• অ্যালার্জি
জাতীয় খাবার ও পরিবেশ এড়িয়ে
চলুন।
• শুকনা
কাশি দীর্ঘদিন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।