× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস

ডেস্ক রিপোর্ট

২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৩ এএম । আপডেটঃ ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৪ এএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর উদযাপিত হয় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়। বিশেষ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালী ছিঁড়ে মস্তিষ্কে এই রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো উচ্চরক্তচাপ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক।

বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর দিবসটি পালন করে আসছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশে এখনো পৃথকভাবে স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম না থাকলেও বাংলাদেশ নিউরোলজি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দিবসটির আয়োজন করা হয়ে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘একত্রে আমরা স্ট্রোকের চেয়ে বড়’

বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বছরে আক্রান্ত হচ্ছে ৬ কোটি এবং মারা যাচ্ছে ২ কোটি মানুষ। স্ট্রোকের কারণে দেড় কোটি লোক পঙ্গু হচ্ছে। প্রতি ৬ জনে ১ জনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে। স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ ভাগ মারা যায়, আর ৩০ ভাগ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারা বেঁচে থেকেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন। আমেরিকানদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক। স্ট্রোকে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবেই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে।
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ ও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল এবং পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে স্ট্রোক ব্যবস্থাপনার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া আট বিভাগে আটটি স্ট্রোক সেন্টার চালু করার কথা থাকলেও এখনও কার্যকর হয়নি। দেশে স্ট্রোকের চিকিৎসা অপ্রতুল হওয়ায় মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি বাড়ছে।

স্ট্রোকের লক্ষণ

স্ট্রোক মস্তিষ্কে রক্ত ​​​​সরবরাহকে প্রভাবিত করে, মস্তিষ্ককে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পেতে বাধা দেয় এবং উপসর্গ হতে পারে যেমন:


অসাড় অবস্থা বা মুখ, বাহু বা পায়ে দুর্বলতা, বিশেষ করে শরীরের একপাশে

বিশৃঙ্খলা, কথা বলতে সমস্যা, বা কথা বুঝতে অসুবিধা

দেখতে সমস্যা এক বা উভয় চোখে

হাঁটতে সমস্যা মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, বা সমন্বয়ের অভাব।


যখন কারও শরীরে স্ট্রোক হয় তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে ছুটে যাওয়া। এর কারণ ইস্কেমিক স্ট্রোকের একমাত্র অনুমোদিত থেরাপি হল উপসর্গের সূত্রপাত হওয়ার প্রথম ৪.৫ ঘন্টার মধ্যে ক্লস্ট বার্স্টিং ড্রাগ (রিকম্বিন্যান্ট টিস্যু প্লাজমিনোজেন অ্যাক্টিভেটর) এর শিরায় ব্যবহার করা। এমনকি এই সময়ের মধ্যে বা তারও আগে এই ওষুধ প্রাপ্ত রোগীরা পরবর্তী কিছুটা পরে প্রাপ্ত রোগীদের তুলনায় অনেক ভাল ফলাফল পান। প্রথম কয়েক ঘণ্টার পরে আমরা শুধুমাত্র অ্যাসপিরিন এবং ক্লোপিডোগ্রেলের মতো রক্ত ​​পাতলা করার ওষুধ ব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ট্রোক প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতে পারি। কিছু পরিস্থিতিতে ওয়ারফারিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস মেলিটাসের মতো ঝুঁকির কারণগুলি এড়াতে প্রয়োজনীয় আঁশজাতীয় খাবার এবং কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওষুধ খান। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করে স্টোক হওয়া থেকে  নিজেকে রক্ষা করাই হল সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.